• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

আন্দোলনে থোরাই কেয়ার সরকারের-কর্মবিরতির ৩য় দিনে পা,বি শিক্ষকরা


প্রকাশিত: ১:৫৬ পিএম, ১৩ জানুয়ারী ১৬ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৭ বার

111স্টাফ রিপোর্টার:  আন্দোলনে থোরাই কেয়ার সরকারের, কর্মবিরতির ৩য় দিনে পা,বি শিক্ষকরা বলছেন আন্দোলন চলবে। দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির আজ তৃতীয় দিন। গত দুদিনের মতো বুধবারও সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর আগে, কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদউদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৈঠক শেষে শিক্ষক নেতারা জানান, সমস্যার সমাধান হয়নি। কর্মবিরতি চলবে।

প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠকের পর শিক্ষামন্ত্রী অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। কীভাবে এ সংকট কাটিয়ে ওঠা যায়। আমরা এগোচ্ছি, আমরা খুবই আশাবাদী। একটা সুষ্ঠু সমাধানে যাওয়ার জন্য যে কার্যক্রম নেওয়া দরকার, সে কার্যক্রমটা আজকের আলোচনায় আরও এগোল।

এদিকে, সোমবার ১১ জানুয়ারি সকাল থেকে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শিক্ষকরা। মর্যাদা প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন। সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অষ্টম পে-স্কেলে শিক্ষকদের অবনমনের প্রতিকার ও মর্যাদা রক্ষার দাবিতে এ কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।

ক্লাস বন্ধ রয়েছে, সান্ধ্যকালীন কোর্সসমূহে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ে সেমিস্টার ফাইনাল বাদে মিডটার্ম পরীক্ষাসহ অন্যান্য সকল শ্রেণি পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে তৃতীয় দিনের মতো আমাদের কর্মবিরতি পালন চলছে।’

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির মহাসচিব এ এস এম মাকসুদ বলেন, ‘আমাদের সমস্যার কথা মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী আবারো জানতে চেয়েছিলেন। আমরা আগে বারবার বলে আসা সব সমস্যার কথা আবারও বলেছি। তিনি বলেছেন, দেখি কী করা যায়। তাই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।’

প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এরপর ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের মুজাফফর আহম্মেদ চৌধুরী মিলানায়তন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা দেন।