• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আনন্দে মাতোয়ারা ২১ জেলা-বাঙালি অসাধ্য সাধন করতে পারে-হাসিনা


প্রকাশিত: ২:৪৩ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৭ বার

pm-padma-www.jatirkhantha.com.bd বিশেষ প্রতিবেদক:
আনন্দে মাতোয়ারা ২১ জেলা। পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রমত্তা পদ্মায় নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হলে সকল অসাধ্য সাধন করতে পারে।শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মার তীরে এক সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এই সেতু নির্মাণের পথে বিশ্ব ব্যাংকের ‘মিথ্যা অভিযোগ’ এবং নানা বাধা বিপত্তির কথা এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বড় কাজ করতে গেলে ‘হাত পাততে হবে’ এ মানসিকতা ভাঙতেই নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সবচেয়ে বড় এই অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। আমি চেয়েছিলাম, আমরা পারি, আমরা তা দেখাব।… আজ আমরা সেই দিনটিতে এসে পৌঁছেছি।বক্তৃতার এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথা নত করেনি, করবেও না।

“আমরা সেই জাতি, যে জাতি সম্পর্কে জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’, আজকেও সেটি প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদী শাসনের কাজ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন; ব্যয় হবে ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

আর পুরো প্রকল্পে ব্যয় হবে প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা। এই সেতু দিয়ে ঢাকাসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়কপথে যুক্ত হবে দক্ষিণ জনপদের ২১ জেলা। সরকার আশা করছে, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু আগামী তিন বছরের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া যাবে। সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেনও চলবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নত হতে হলে একটি দেশ এককভাবে পারে না, আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রয়োজন।তিনি বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে একদিকে দক্ষিণ অঞ্চলের অবহেলিত মানুষের জীবনমানের উন্নতি হবে, অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।

এ সেতু হলে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ২ শতাংশ বাড়বে, প্রতিবছর শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে বলে আশা করছে সরকার। জাজিরার অনুষ্ঠান শেষে নৌপথে মাওয়ায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। পথে নদীর মধ্যে সাত নম্বর পিলারের পাইলিং কাজের জায়গাটি দেখবেন তিনি। সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ওই ৭ নম্বর পিলারের মাধ্যমেই শুরু হবে মূল কাজ। মাওয়ায় পৌঁছে সেখানে মূল সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন সরকারপ্রধান।

দুপুরের পর মাওয়ায় এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, শিল্প মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান ও ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সেনা প্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সুধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।