‘আট হাজার আট’শ ২২ কোটি টাকা ঘুষ খেয়েছে পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ঠরা’
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে ২০১৫ সালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। একই সঙ্গে বেশির ভাগ মানুষই পাসপোর্টের জন্য ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন। এরপর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার কাছে মানুষ দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। আর দুর্নীতি কারণে মানুষ ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে।
২০১৫ সালে সেবা খাতে দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) জাতীয় খানা জরিপের ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।বুধবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ টিআইবি কার্যালয়ে এ খানা জরিপ প্রকাশ করা হয়।
খানা জরিপে বলা হয়েছে, জাতীয়ভাবে ২০১৪/১৫ সালে মোট প্রাক্কলিত ঘুষের পরিমাণ আট হাজার আট শ ২২ কোটি টাকা। যা ২০১২ সালের তুলনায় প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা বেশি। জরিপে ৭১ শতাংশ খানা বলেছে, ঘুষ না দিলে কাঙ্খিত সেবা পাওয়া যায় না। এ কারণে তারা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছেন।
জরিপে আরো বলা হয়, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষ দুর্নীতির শিকার বেশি হয়েছেন। একই সঙ্গে ধনী ও মধ্যবিত্তদের তুলনায় নিম্ন আয় ও অসহায় মানুষেরা বেশি ঘুষ দিয়েছেন।
সুপারিশে বলা হয়েছে, সেবা খাতে দুর্নীতি প্রতিরাধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আইনানুগ ব্যবস্থা কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে বরং দমনের প্রতি সোচ্চার হতে হবে।
টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আডভোকেট সুলতানা কামাল, টিআইবির নির্বাহী পরিবচালক ড. ইফতাখেরুজজামানসহ টিআইবি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।