• শনিবার , ১৬ নভেম্বর ২০২৪

আজিমপুরে নিহত কে এই জঙ্গি কমান্ডার করিম?


প্রকাশিত: ১১:৫৩ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ১৬ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

11এস রহমান  :  জঙ্গি জগতের কমান্ডার ছিল আজিমপুরে নিহত জঙ্গি নেতা করিম। এই সেই করিমই গুলশানের হলি আর্টিজান, শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলা, কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানাসহ জঙ্গিদের বাসা ভাড়া নেওয়ার মূল হোতা করিম বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি একেএম শহীদুল হক।
1
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জাতিরকন্ঠকে জানান, করিমের কাজই হচ্ছে জঙ্গিদের জন্য বাসা ভাড়া করা। তার স্ত্রীও জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এর আগে বসুন্ধরা, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়ায় এই করিমই স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ বাসা ভাড়া নিয়েছিল বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।

2সামান্য কিছু আসবাবপত্র নিয়ে বাসায় ওঠে সে। পরে জঙ্গিরা ওই বাসায় অবস্থান নেওয়ার পর করিম পরিবার নিয়ে অন্যত্র সটকে পড়ে। গুলশান হামলার দুদিন পর এই করিম পরিবারসহ বসুন্ধরার বাসা থেকে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে ধরতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের ভারাপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানান, এই পরিবারটি একসঙ্গে একাধিক বাসা ভাড়া নিয়ে রেখেছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে। এসব বাসার কয়েকটিতে অভিযানও চালানো হয়েছে। তবে তাদের পাওয়া যায়নি।

সিটির কর্মকর্তারা জানান,সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই করিম  বাসা ভাড়া নিতো । তার সংসারের খরচের টাকাও দেওয়া হয় সংগঠন থেকে। তার কাজই কেবল দম্পতি পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে জঙ্গিদের নিরাপদ আস্তানা তৈরিতে সহায়তা করা। সংশ্লিষ্টরা জানান, করিমের মাধ্যমেই তার স্ত্রী জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। ৮-১০ বছর বয়সী তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে।

সূত্র জানায়, করিমের মাধ্যমে রাজধানীতে আরও  কয়েকটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। ইতোমধ্যে শনাক্ত হওয়া অন্তত তিনটি বাসায় গোয়েন্দারা অভিযানও চালিয়েছেন। কিন্তু অভিযানে গিয়ে কাউকেই বাসায় পাননি। বাড়িওয়ালা তাদের জানিয়েছেন, তাদেরকে না জানিয়েই ভাড়াটিয়ারা কোথাও চলে গিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এসব বাসায় ভারী কোনও আসবাপত্র নেই। কোনও রকমে ঘুমানোর জন্য কিছু তোষক-বিছানাপত্র ও রান্নার জন্য হাড়িপাতিল পাওয়া গেছে। এছাড়া কোনও ডকুমেন্টসও পাওয়া যায়নি এসব আস্তানায়।