• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

আগের মতোই পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষা চলবে


প্রকাশিত: ৬:৩৫ পিএম, ২৭ জুন ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৭ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : আগের মতোই পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও অষ্টম শ্রেণিতে exam-www.jatirkhantha.com.bdজুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা চলতে থাকবে।আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের সভাকক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এ ছাড়া মন্ত্রিসভায় আজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণচুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পঞ্চম শ্রেণির পরিবর্তে অষ্টম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেনি। বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাবটি আরও পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শিক্ষার স্তর পরিবর্তনের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরবর্তীতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কারণ এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অবকাঠামোগত, শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণসহ অনেক ধরনের কর্মকাণ্ড জড়িত। তাই আগের মতোই পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা ও অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা হবে না বলে ঘোষণা দেয়। এর পরিবর্তে অষ্টম শ্রেণিতে সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার কথা জানায়। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য পাঠায়। কিন্তু আজ মন্ত্রিসভা প্রস্তাবটি নাকচ করে আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলে।

আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণচুক্তির খসড়া অনুমোদন
মন্ত্রিসভায় আজ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় ঋণচুক্তির খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মোট খরচ হবে ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১২ শ’ ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে রাশিয়ার সরকার ঋণ হিসেবে দেবে ১১.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১১ শ’ ৩৮ কোটি মার্কিন ডলার।

বাকি অর্থ বাংলাদেশ সরকার দেবে। অনুদান হিসেবেও কিছু অর্থ পাওয়া যাবে। এই ঋণের গ্রেস পিরিয়ড থাকবে ১০ বছর। ৩০ বছরের মধ্যে ঋণশোধ করতে হবে। ২০২৭ সালের ১৫ মার্চ থেকে প্রতিবছর এই সময়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। সুদের হার ১.৭৫ শতাংশ থেকে শুরু হবে। তবে তা ৪ শতাংশের বেশি হবে না।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামী জুলাই বা আগস্ট মাসে দুই দেশের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি সই হবে। তবে এই চুক্তি বাংলাদেশে না রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে তা এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি।