শফিক আজিজ.ঢাকা: আওয়ামী লীগকে শুধু দিয়েই গেলেন ‘তিনি’ কিছু পেলেন না–। দলের সব প্রয়োজনে তাঁকে লাগে– কিন্তু কাজের সময় তাঁকে ভুলে যান—‘তাঁরা’। নাম বলা হয় না হাজী সেলিমের—। ফলে দুই বছর ধরে হোম ওয়ার্ক করার পরও ডিসিসি দক্ষিনের মেয়র পদের জন্যে তাঁর মনোনয়ন ঝুলে থাকে। মনের দুঃখে হাজী সেলিম তাই কেউ ফেরে না খালি হাতে গেলে খাজার দরবারে গেছেন—-।সূত্র জানায়,
দলের সমর্থন না পেয়ে ‘চিকিৎ সা’র জন্য ভারতের মাদ্রাজ গেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিম। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে মাদ্রাজ যাওয়ার কথা লেখেন হাজি সেলিম। তিনি লিখেছেন, ‘আমি চিকিৎসার জন্য মাদ্রাজের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলাম। আমি মাদ্রাজে চিকিৎসা শেষ করে মাজার জিয়ারতের উদ্দেশে আজমীর শরীফ যাব।
আমার মেয়র নির্বাচনের জন্য গত কয়েক দিন শরীরের ওপর অনেক নির্যাতন করেছি।ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমার সাথে আমার ঢাকার লক্ষ লক্ষ কর্মী, সমর্থক, ভক্ত এবং পাড়া-মহল্লার মা-বোনরা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমি তাঁদের কাছে ঋণী এবং কৃতজ্ঞ। আমি যাতে চিকিৎসা এবং আজমীর শরীফে মাজার জিয়ারত শেষ করে আবার আপনাদের মাঝে ফিরে এসে আপনাদের সেবা করতে পারি এর জন্য দোয়া করবেন।
হাজি সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সোহেল আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বলেন, গতকাল রাতেই তিনি মাদ্রাজের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে ঢাকা দক্ষিণে সাঈদ খোকনকে দলের সমর্থন দেওয়ার কথা জানানো হয়। একই সঙ্গে হাজি সেলিমকে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ না করার জন্যও বলা হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে সংসদ অধিবেশন শেষে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র নিয়ে যান হাজি সেলিম। কিন্তু স্পিকার ওই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। হাজি সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সোহেল বলেন, সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য স্যার স্পিকারের কাছে গিয়েছিলেন। স্পিকার স্যারকে বলেছেন, আপনি সংসদকে জমিয়ে রেখেছেন। আপনাকে সংসদে প্রয়োজন রয়েছে। তবে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
জানা গেছে, স্পিকারের সঙ্গে দেখা করার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হাজি সেলিম। দীর্ঘ বৈঠকে হাজি সেলিমকে সংসদে থাকার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। হাজি সেলিমের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, দলের সমর্থন পাওয়া যাবে না, এটা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি মাদ্রাজ গেছেন।