• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

আইসিডিডিআরবির ভেজাল স্যালাইন, নকল চালের স্যালাইনের রমরমা ব্যবসা


প্রকাশিত: ৭:২৮ পিএম, ৭ এপ্রিল ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৪ বার

মোড়ক দেখলে বোঝার কোনো উপায় নেই। হুবহু আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) তৈরি চালের স্যালাইনের মতো। কিন্তু নজরকাড়া এই মোড়কের ভেতর রয়েছে ভেজাল স্যালাইন। চালের গুঁড়া থাকলেও কল-কারখানায় ব্যবহূত পটাশিয়াম ক্লোরাইড মিশিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে এ ধরনের চালের স্যালাইন।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় নকল ও ভেজাল স্যালাইন তৈরির কারাখানার সন্ধান পেয়েছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাড্ডার সাতারকুলের ১০ নম্বর আবদুল্লাবাগে এই কারাখানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন ও স্যালাইন তৈরির উপকরণ। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কারখানার মালিকসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা।অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি ভেজাল স্যালাইন মোড়কজাত করা হচ্ছে। ছবি: কমল জোহা খান

কারখানার মালিক সিদ্দিকুর রহমানকে দুই বছর কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, বিপণনকারী নবীন খানকে এক বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং তিন কর্মচারী কবির হোসেন, স্বপন ও মাসুদ আকনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

টিন শেডের এই কারখানায় সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মচারীরা মেঝেতে বসে ঘামে ভেজা হাতে গামলায় চালের গুঁড়ার সঙ্গে বিভিন্ন উপকরণ মেশাচ্ছেন। মোড়কে ভরার পর বিপণনকারী নবীন খান নিজেই হিট মেশিন দিয়ে মোড়কজাত করছেন।

কারখানার মালিক সিদ্দিকুর রহমান জানান, তিনি আইসিডিডিআরবির সাবেক কর্মচারী। এক প্যাকেট স্যালাইন তৈরি করতে খরচ পড়ে ৭ টাকা। বিপণনকারী এক প্যাকেট স্যালাইন বিভিন্ন ওষুধের দোকানে বিক্রি করেন ১০ টাকায়। ক্রেতারা প্রতি প্যাকেট কেনেন ১৫ টাকায়। প্রতিদিন আট হাজার প্যাকেট চালের স্যালাইন তৈরি করা হয় সিদ্দিকুরের কারখানায়। স্যালাইনের মান যাচাই করা হয় না।

অভিযানে উপস্থিত ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক মোহিদ খান বলেন, ‘কোনো ধরনের মান বজায় না রেখেই এখানে চালের স্যালাইন তৈরি করা হয়। বেশি লাভ করার জন্য কল-কারখানার পটাশিয়াম মেশানো হচ্ছিল এসব স্যালাইনে।’

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা বলেন, ‘গরমের সময় ডায়রিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা দেয়। তাই বাজারে চালের স্যালাইনের চাহিদা রয়েছে। সেজন্য এর উত্পাদনও বেশি হচ্ছে।’
কয়েক দিন আগেও রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভেজাল স্যালাইনের কারখানার সন্ধান পায় র‌্যাব।