আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না-হাইকোর্টের রুল
বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা: তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ রুল দেন।
রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহার হোসেন।
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইন সচিব এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা বিলুপ্তির নির্দেশনা চেয়ে গত সপ্তাহে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও লেখকসহ ১১ ব্যক্তি।
তাঁরা হলেন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আহমেদ কামাল, আকমল হোসেন, গীতি আরা নাসরিন, ফাহমিদুল হক, তানজীম উদ্দিন খান, সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী, লেখক রাখাল রাহা ও আব্দুস সালাম।
এদিকে, একই বিষয়ে আরেকটি রিট আবেদনের ব্যাপারে আগামীকাল বুধবার আদেশ দেবেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
এই রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ইমরান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
গত বৃহস্পতিবার আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা সংবিধানের ২৭,৩১, ৩৯ ও ৪০ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে রিটটি করেন রাজধানীর পল্লবীর বাসিন্দা জাকির হোসেন। আবেদনে তিনি ৫৭ ধারাটিকে সংবিধান পরিপন্থী ও অবৈধ ঘোষণা চান। গত রোববার এ আবেদনের শুনানি শুরু হয়।