আইভির নমস্কার-অতঃপর গাঁদা ফুলের পাপড়ি বৃষ্ঠি?
এস রহমান : এটাই আইভি-এজন্যই তিনি নারায়নগঞ্জের মেয়র ছিলেন! সামনে আসছে আবার শুভ
দিন। ভোট চাইতে গিয়েছিলেন হিন্দু পাড়ায়। সেখানেই এভাবে নমস্কার করলেন নারী হিন্দু ভোটারদের। অতঃপর তার ওপর ছিটানো হলো গাঁধা ফুলের পাপড়ি…। এখানেই ভোট নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে আইভির।
মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা। শেষ পর্যায়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি, জানাচ্ছেন নিজের পরিকল্পনার কথা। প্রার্থনা মাত্র একটি ভোটের। এদিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী অধুনিক নগর গড়তে তার ২১টি পরিকল্পনার কথা জানালেন ভোটারদের। এর মধ্যে ১৬টি স্বল্পমেয়াদী ও ৫টি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
আইভীর ছাপানো ছয় পাতার বুকলেটে দেখা যায়, ভবিষ্যৎ নগর উন্নয়ন পরিকল্পানায় ১৬টি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- চলমান উন্নয়ন কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন, সবুজ ও পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলার জন্য মাস্টারপ্ল্যান মোতাবেক সড়ক উন্নয়ন, সমন্বিত ড্রেনেজ সিস্টেম, পয়োনিষ্কাশন, জলধারা সংরক্ষণ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে কার্বনমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক, নগর হাসপাতাল এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু।
পাশাপাশি স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সুপেয় পানি পানের জন্য পানি সরবরাহ ব্যবস্থা স্থাপন, সিটি করপোরেশনের সব স্তরে সুশাসন সুনিশ্চিত করা, তথ্যপ্রযুক্তি সেবার মাধ্যমে ডিজিটাল নগরী হিসেবে গড়ে তোলা ও নাসিকের নাগরিক সুবিধা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে সব কাজ অটোমেশন করা এবং তিনটি অঞ্চলে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু, দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির পরিধি সম্প্রসারণ, নাসিকের হতদরিদ্র পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বল্প ব্যয়ে আবাসন ব্যবস্থা চালু, নতুন বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণসহ সিটি সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া।
এনসিসির আয় বৃদ্ধির জন্য নিজস্ব ভূমিতে মার্কেট ও ফ্ল্যাট নির্মাণ এবং কাঁচাবাজারগুলোর উন্নয়ন, কবরস্থান ও শ্মশানের উন্নয়ন, হেরিটেজ পার্কসহ বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক নির্মাণ, ঐতিহাসিক স্থানগুলো সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়া, শীতলক্ষ্যা নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা।
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাঁচটি উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে- সুয়ারেজ সিস্টেম স্থাপনকরণ এবং ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নতিকরণ, শীতলক্ষ্যা নদীর দুই পারে ঢাকা-চট্টগ্রম ও ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী সার্কুলার রোড নির্মাণ, সুপেয় পানি পানের জন্য পানি শোধনাগার নির্মাণ, নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেলের সঙ্গে সংযুক্ত করে ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন করে যানজটমুক্ত নগর গড়তে সহায়তা করা এবং নগরীর শিক্ষার উন্নয়নে আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা।