• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আইপিএলে রেকর্ড-ব্যাটসম্যানদের পিটুনি- বলের সুতো বার করল হেড-শর্মা আর ক্লাসেন


প্রকাশিত: ১১:২৩ পিএম, ২৭ মার্চ ২৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯২ বার

 

স্পোর্টস রিপোর্টার : ব্যাটসম্যানদের পিটুনিতে বলের সুতো বের করে ফেলেছেন ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা আর হেনরিখ ক্লাসেনরা।আইপিএলে আজ হার্দিক পান্ডিয়ার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বোলারদের পিটিয়ে আসলেই বলের বারোটা বাজিয়ে সুতো খুলে ফেলেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানরা! ইনিংসের ১৯তম বলের সুতো বের হয়ে যাওয়ায় আম্পায়ার বল বদলাতেও বাধ্য হয়েছেন!

এমনই পিটিয়েছেন ট্রাভিস হেড, অভিষেক শর্মা আর হেনরিখ ক্লাসেনরা যে, আইপিএলের রেকর্ডবই-ই তছনছ হয়ে গেল। ২০ ওভারের একটা ম্যাচ, তাতে ইনিংসে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তুলেছে হায়দরাবাদ! আইপিএল ইতিহাসে কোনো দলের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড যে হয়ে গেছে, সে নিয়ে কোনো সংশয় সম্ভবত আর থাকে না।

এর আগের সর্বোচ্চ ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর, ২০১৩ আইপিএলে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে তারা ২০ ওভারে তুলেছিল ২৬৩ রান। কোন ইনিংস সেটি মনে আছে তো? ক্রিস গেইল যেদিন ৬৬ বলে ১৭৫ রানের অতিমানবীয় ইনিংস খেলেছিলেন!

মজার ব্যাপার, আইপিএলে রেকর্ড হলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কিন্তু এর চেয়ে বেশি রানের দলীয় ইনিংস আছে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তো আইসিসি বিশ্বের সবগুলো দলকেই পারলে নামিয়ে দেয়, তাতে রেকর্ডের হিসাব রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। সেখানে রেকর্ডটা নেপালের, মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে গত সেপ্টেম্বরে তারা করেছে ৩১৪ রান। হায়দরাবাদের আজকের ২৭৭ রানের চেয়ে বড় স্কোর আছে আরও দুটি – দুটিই ২৭৮ রানের, একটি আফগানিস্তান করেছে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, অন্যটি তুরস্কের বিপক্ষে চেক প্রজাতন্ত্রের।

আইপিএলে ফেরা যাক। হায়দরাবাদের আজ ‘গেইল’ কোনো একজন হননি, বরং তিনজন খেলেছেন গেইলের মতো ইনিংস – ট্রাভিস হেড ২৪ বলে ৯ চার ৩ ছক্কায় করেছেন ৬২ রান, অভিষেক শর্মা ৩ চার ৭ ছক্কায় ২৩ বলে করেছেন ৬৩ রান। আর শেষে ব্যাটটাকে গদার মতো চালিয়েছেন দুই দক্ষিণ আফ্রিকান। কিন্তু দুজনের মধ্যে হেনরিখ ক্লাসেন এমনই তুফান বইয়ে দিয়েছেন যে, এইডেন মার্করামের ২৮ বলে ৪২ রানের ইনিংস বরং এখন পাতে ওঠারই সুযোগ পাচ্ছে না! ক্লাসেন কী করেছেন? ৩৪ বলে ৪ চার ৭ ছক্কায় অপরাজিত ৮০ রান! মজার ব্যাপার কী জানেন, আজকের ইনিংসে ৪ চারের প্রথমটি মারার আগে এবারের আইপিএলে ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্লাসেন। ছক্কাই অনায়াসে এলে চার মেরে বল নষ্ট করে কে!

পেছনে তাকিয়ে এখন সানরাইজার্সের বরং আফসোস হতে পারে, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ১৩ বলে ১১ রানের ‘টেস্ট’ না খেললে হায়দরাবাদের রান আজ সম্ভবত ৩০০-ও ছাড়িয়ে যেত।এমন দিনে মুম্বাইয়ের বোলারদের রানগুলো না জানলে আসলে চলে না! অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ রাঙিয়ে আজই মুম্বাইয়ের জার্সিতে অভিষিক্ত দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মাফাকার জন্য একটু খারাপই লাগতে পারে, বেচারাকে পিটিয়ে ৪ ওভারে ৬৬ রান নিয়েছেন হেড-ক্লাসেনরা। পান্ডিয়া ৪ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান, এর মধ্যে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উইকেটটি নিয়ে উল্টো যেন ক্ষতিই করেছেন মুম্বাইয়ের।

জেরাল্ড কোয়েটজির চার ওভারে খরচ ৫৭ রান, পিযুশ চাওলা ২ ওভারে দিয়েছেন ৩৪, শামস মুলানি ২ ওভারে ৩৩। এর মধ্যে যশপ্রীত বুমরা প্রায় পুরোটা সময় নিজের জাত চিনিয়ে গেলেন। প্রায় বলতে হচ্ছে, কারণ তাঁর শেষ ওভারে পরপর দুই বলে ক্লাসেন দুটি চার না মারলে বুমরার ৪ ওভারে যে ৩৬ রানও হয় না!