• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

আইনশৃঙ্খলাও বজায় রাখছে- পুলিশ ভালো খেলছেও-আইজিপি


প্রকাশিত: ১:৫৬ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২৩ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে দেশের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখছে। তেমনি ক্রীড়াক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন খেলায় ভালো করছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মিরপুরে পিএসসি কনভেনশন হলে বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে ‘স্পোর্টস ইভিনিং ২০২৩’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। আইজিপি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ খেলাধুলায় যেভাবে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে পুলিশের জন্য একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স করা এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ পুলিশের জন্য একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্রীড়া কমপ্লেক্স করার কাজে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

পুলিশপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের খেলোয়াড়দের সম্মানিত করা এবং আগামীতে আরও ভালো করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে ২০১৬ সাল থেকে ‘স্পোর্টস ইভিনিং’ চালু করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জনকারী খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করা হয়। এ বছর জাতীয় পর্যায়ে ২০১ জন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৫৬ জন ক্রীড়াবিদকে সম্মাননা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের বর্ষসেরা খেলোয়াড় পুরুষ নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য ঈসা ফয়সাল এবং নারী মোসাম্মৎ সাবিনা খাতুন। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) বর্ষসেরা ইউনিট হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

এ উপলক্ষে ‘দুরন্ত দুর্বার’ নামে একটি নান্দনিক স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ পুলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের বিভিন্ন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন ক্লাবের খেলোয়াড়দের পরিচয় এবং সাফল্য তুলে ধরে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।আইজিপি বিভিন্ন ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন।

অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এআইজি (এডুকেশন, স্পোর্টস অ্যান্ড কালচার) ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্রীড়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা। বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এবং পুলিশের ১৮টি ক্লাবের প্রায় ৮০০ খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন।