আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে ফুঁসে উঠছে স্বাধীনতা স্বপক্ষের মানুষ
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে মুক্তিযুদ্ধকালে অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মামলা ও বিচার করা আপাতত সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
প্রয়োজনে ৫ ফেব্রুয়ারির মতো রাজপথে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালের পর থেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জামায়াত বারবার নিষিদ্ধ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। যখন সেই সংগঠনের কোনো মন্ত্রী বলেন যে, জামায়াত নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়, তখন সেটা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’
সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবির পক্ষে শপথ নিয়েছিলেন আজকের আইনমন্ত্রী। কিন্তু সে শপথের কথা মন্ত্রী বেমালুম ভুলে গেছেন। সরকারের প্রধান থেকে শুরু করে যাঁরা নেতৃত্বস্থানীয়, তাঁরা প্রত্যেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন, গণজাগরণ মঞ্চের প্রত্যেকটি দফার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন, সেসব দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি তাঁরা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে দেখছি, জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি তাঁরা ভুলে গিয়েছেন।’
ইমরান এইচ সরকার আরও বলেন, কিছু বুদ্ধিজীবীকে দিয়ে ‘গণজাগরণ মঞ্চ বিভাজিত’ করার রাজনৈতিক প্রজেক্ট বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন চালিয়ে যেতে, ছয় দফা দাবি আদায়ে কোনো বুদ্ধিজীবীর বুদ্ধির দরকার নেই, রাজপথে থেকে তরুণ প্রজন্মই এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘সবাইকে চিনেছি। আমার মত পাল্টাতে, রঙ পাল্টাতে দেখেছি। যখন যুদ্ধাপরাধের বিচারপ্রক্রিয়াকে স্থবির করে দেওয়া হয়েছে তখন কেন গণজাগরণ মঞ্চের ওপর বারংবার হামলা হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
এ সময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার, ব্লগার আরিফ জেবতিক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স প্রমুখ। সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে ঘুরে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়।