• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

‘অহেতুক পানি ঘোলা করবেন না’


প্রকাশিত: ১০:৩৪ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৬ বার

 
বিশেষ প্রতিনিধি :  আগামী নির্বাচন যথাসময়ে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ নিয়ে অহেতুক পানি ঘোলা করার hasina-www.jatirkhantha.com.bdসুযোগ নেই। নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন বক্তব্যেরও কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের সব নিয়মকানুন যারা ভেঙে ফেলেছিল, কোন মুখে তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে।

কিছু  সুশীলের কারণেও এ দেশে জনগণের ভোটাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণœ হয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ আছে কিন্তু ভোটে জেতার সামর্থ্য নেই। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সে দেশে ফিরিয়ে নেয়া উচিত বলেও এ সময় উল্লেখ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের শুরুতে বৃহস্পতিবার এসব কথা বলেন তিনি।সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে তখন হাসি পায়। কেননা এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বন্দুকের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। হ্যাঁ-না ভোটের নামে তামাশা করেছিলেন। আর এর বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে জনগণের আন্দোলনের মুখে দেড় মাসের মাথায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

বিএনপি মাগুরায় এবং ঢাকায় মোসাদ্দেক আলী ফালু ও মিরপুরের উপনির্বাচনে ভোট জালিয়াতি, দাঙ্গা-হাঙ্গামা এবং প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। বিপরীতে আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিসহ ভোটার তালিকার ব্যবস্থাসহ নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছিল।

ভোটাধিকার জনগণের সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তার দল তাতে বিশ্বাস করে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে বলেই দেশের উন্নয়ন হয়েছে, মানুষ শান্তিতে আছে। অপরদিকে ভোট চুরি, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মানি লন্ডারিং এবং লুটপাটে ব্যস্ত ছিল বিএনপি।

শেখ হাসিনা বলেন, কিছু সুবিধাবাদী সুশীল আছেন, যাদের ক্ষমতায় যাওয়ার লোভ আছে কিন্তু নির্বাচনে জেতার সামর্থ্য নেই। এদের ক্ষমতায় যাওয়ার খায়েশ পূরণ করতেই অনেক সময় জনগণকে তাদের সাংবিধানিক অধিকার, ভোটাধিকার হারাতে হয়।

এ দেশে মিয়ানমার থেকে রিফিউজি আসছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কোনো দেশের নাগরিক অন্য দেশে আশ্রয় নেয়াটা সে দেশের জন্য সম্মানজনক নয়। সেটা মিয়ানমারের বোঝা উচিত। বাংলাদেশে আসা সে দেশের নাগরিকদের তাদের ফেরত নেয়া উচিত এবং নিরাপদ আশ্রয় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত।