অস্ত্র মামলার আসামি জনু পালালো হাইকোর্টে জামিন জালিয়াতি করে
স্টাফ রিপোর্টার : এবার মামলার এজাহার ও জব্দ তালিকার নথি জাল করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে হুমায়ন কবির জনু নামে অস্ত্র মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন জনু। বৃহস্পতিবার একই মামলার আরেক আসামি হাইকোর্টে জামিন নিতে এলে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পরে।
এরপর আসামি জনুকে সাত দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে জালিয়াতির ঘটনায় কারা জড়িত সে বিষয়ে মামলা দায়ের করতে সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত আবেদন শুনানিতে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাসিমা আক্তার শানু। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটনি জেনারেল ইউসুফ হোসেন মুর্শেদ।
মুগদা থানার বিশ্বরোডে গার্মেন্টস গলির সামনের রাস্তায় অস্ত্র ও গুলি কেনা-বেচার সময় ৪ জনকে গত বছরের ১৩ নভেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। এই ঘটনায় ওইদিনই মুগদা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় জনু ও শহর আলী ওরফে লিটন গ্রেফতার হন।এরপর ২৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে নথি জাল করে জামিন নেন আসামি জনু।
আজ ওই মামলার অপর আসামি শহর আলী হাইকোর্টে জামিন চান। শহর আলীর আইনজীবী নাসিমা আক্তার শানু বলেন, মামলার আসামি জনু হাইকোর্টে জামিন পেয়েছেন। সেই হিসেবে শহর আলীও জামিন পেতে পারেন। তখন আদালত জনু ও শহর আলীর জামিন আবেদন পর্যালোচনা করেন। ওই পর্যালোচনায় আদালত দেখতে পান যে মূল এজাহার ও জব্দ তালিকার নথি জাল করে জামিন আবেদন করেছিলেন জনু।
যেখানে তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখই ছিল না। পরে হাইকোর্ট জনুর জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। শহর আলীর জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন বিচারক।