স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা:
অর্থমন্ত্রীর দুর্নীতির গোমর ফাঁস করলেন জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান বারাকাত; জনতা ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান আবুল বারকাত বলেছেন, অর্থমন্ত্রী বুদ্ধিবৃত্তিক জালিয়াতি করেন। অবলীলায় মিথ্যা কথা বলেন; অন্যায় তদবির করেন। তিনি পরিবারতন্ত্রে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জনতা ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতার পাঁচ বছর ২০০৯-১৩’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন আবুল বারকাত। সেখানে তিনি অর্থমন্ত্রীর তির্যক সমালোচনা করেন। গত রোববার পর্যন্ত আবুল বারকাত ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
জনতা ব্যাংকের অবক্ষয়ের জন্য পর্ষদ দায়ী: মুহিত
সামাজিক দায়বদ্ধতা বা সিএসআর বাবদ পাঁচ বছরে কত টাকা, কতজনের কাছে এবং কীভাবে খরচ হয়েছে, তার ওপর এই বইটি প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক লিমিটেড।
সম্প্রতি জনতা ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার ব্যাংকের সিএসআর কার্যক্রম স্থগিত করেন অর্থমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী কাজটি ঠিক করেননি বলে গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেন আবুল বারকাত। সুনামগঞ্জের হাওরে নৌকা বাইচের জন্য টাকা চেয়ে অর্থমন্ত্রী চিঠি দিলেও বারকাত তা আমলে নেননি বলে তিনি জানান।
অর্থমন্ত্রী এর প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান, বারকাতকে চেয়ারম্যান হিসেবে পুনর্নিয়োগ না দেওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়ে থাকতে পারেন। নৌকা বাইচের জন্য অর্থ দিতে তিনি বারকাতকে কোনো চিঠি দেননি বলেও জানান। পাঁচ বছর আগের তুলনায় জনতা ব্যাংকের অবক্ষয় হয়েছে বলেও মনে করেন মুহিত।
অর্থমন্ত্রী বুদ্ধিবৃত্তিক জালিয়াতি করেন……………………………
অনুষ্ঠানে আবুল বারকাত বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ পোশাক। এসব পরিধান করে আমি মনে করি আমাদের অর্থমন্ত্রী মহোদয় জনাব আবুল মাল আবদুল মুহিত; তিনি বুদ্ধিবৃত্তিক জালিয়াতি করেন। মিথ্যা কথা বলেন। অবলীলায় মিথ্যা কথা তিনি বলেন। এবং মিথ্যা বলতে তিনি পারদর্শী।’
জনতা ব্যাংকের সদ্য বিদায়ী এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর চেয়ারে বসে যেখানে প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণকে তাঁর (আবুল মাল আবদুল মুহিত) সেবা করার কথা; সেখানে অন্যায্য, অন্যায় ও দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর এমন কর্মকাণ্ডের তদবির তিনি আমাকে করেছেন।’
অর্থমন্ত্রী নিজের জেলার মানুষদের বেশি সুবিধা দেন অর্থাত্
আঞ্চলিকতাদোষে দুষ্ট বলেও অভিযোগ করেন বারকাত। অর্থমন্ত্রীর মধ্যে স্বজনপ্রীতিও প্রবল উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘পরিবারতন্ত্রে তিনি (অর্থমন্ত্রী) প্রথম স্থান অধিকারী।
কারণ তিনি তার ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, ভাস্তে-ভাগনে-ভাগনি জামাইসহ অন্যান্য নিকট আত্মীয়দের সবাইকে রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। সেই সাথে তাঁদের ব্যবসায়িক ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা দিয়েছেন, অযোগ্য হলেও।’