• বুধবার , ২৭ নভেম্বর ২০২৪

অর্খমন্ত্রীর গোমর ফাঁসের পর অবশেষে ঘুম ভাঙ্গল-দুদকের


প্রকাশিত: ১০:৩৬ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯৪ বার

এস রহমান  :  অর্খমন্ত্রীর গোমর ফাঁসের পর অবশেষে ঘুম ভাঙ্গল-দুদকের।দুদক বলেছে, বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি তদন্তে প্রয়োজনে রাষ্ট্রায়ত্ত basic bachu-www.jatirkhantha.com.bdব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির পরিচালক নূর মোহাম্মদ বলেন, “আমরা প্রাথমিকভাবে যে অনুসন্ধান করেছি, তাতে উনার (বাচ্চু) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এখনও মামলাগুলো শেষ হয় নাই। তদন্ত পর্যায়ে প্রয়োজন হলে অবশ্যই তাকে তলব করা হবে।”

DUDOK-www.jatirkhantha.com.bd২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ব্যাংকটির গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর তার তদন্তে নামে দুদক।ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়া, জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দানসহ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ আছে ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।

প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় গত বছর রাজাধানীর তিনটি থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। আসামিদের মধ্যে ২৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা এবং বাকিরা ঋণ গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক জরিপ প্রতিষ্ঠানে যুক্ত।তবে আসামির তালিকায় নেই বাচ্চু বা ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের কেউ।এ বিষয়ে দুদকের বক্তব্য, ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। তাই তার নাম আসামির তালিকায় রাখা হয়নি।

তবে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংক কর্তৃক নিয়োগকৃত বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের দাখিলকৃত কার্যভিত্তিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে অনিয়মিত ঋণ মঞ্জুর, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে।”

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়।কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করার পর চাপের মুখে থাকা বাচ্চু পদত্যাগ করেন।অর্থমন্ত্রী তখন বলেছিলেন, পদত্যাগ করলেই পার পাবেন না বাচ্চু। তদন্তে দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।