• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

অবৈধ সরকার শংকায় বি.চৌধুরী!


প্রকাশিত: ৮:০৪ পিএম, ১৭ আগস্ট ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৩ বার

স্টাফ রিপোর্টার  :  সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, b-chow-www.jatirkhantha.com.bdবিচার বিভাগের স্বাধীনতা মানতে হবে। সংবিধানেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে বিচার বিভাগের দেয়া একটি রায় নিয়ে সরকার যা করছে এতে একটা সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের টানাপোড়েনসহ ক্ষমতাসীন দলটির শীর্ষ নেতাদের সম্প্রতিক সময়ের বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘ষোড়শ সংশোধনী  বাতিলের রায় : অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও বাংলাদেশের রাজনীতি’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডি।

বি. চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকার রাষ্ট্রের আরেকটি স্বম্ভ নিয়ে লড়াইয়ের মত পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়ছে। এটা অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা ভবিষ্যতে কোনো সিরিয়াস চেহারা নিতে পারে। সরকারকে এটা ভাবতে হবে।’তিনি বলেন, ‘আমার সন্দেহ হয়, এ প্রেক্ষাপটে না আবার কোনো অবৈধ সরকার আসে, বা কোনো অসাংবিধানিক সরকার আসতে পারে।

আর যদি কোনো অসাংবিধানিক সরকার আসার চেষ্টা করে তাহলে এর জন্য কে দায়ী?  এটাই এখন বড় চিন্তার বিষয়।’
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেডএসডির  সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।

বি. চৌধুরী বলেন, সাংবিধান অনুযায়ী বিচার বিভাগের রায় মেনে নিতে হবে। এটাই সংবিধান সম্মত। রায় (ষোড়শ সংশোধনী) হিসেবে সুপ্রিমকোর্ট যা বলেছে সেটা গ্রহণ না করে উপায় নেই। এটা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা সংসদে হতে পারে। তারপরও একটা ভদ্রতা থাকতে হবে। সংসদ সদস্য হিসেবে আত্ম মর্যাদা নিয়েই কথা বলতে হবে।

তিনি বলেন, ‘একটি রায়ে একপক্ষ খুশী হবে, আরেক পক্ষ অখুশী হবে। রায়ের পক্ষে বিপক্ষে কথা হয়, কথা হবে। যারা এই রায় পছন্দ করেন না তাদের উচিৎ হবে সংসদে এ নিয়ে আলোচনা করা। সংসদে সব বিষয়েই আলোচনার করা হয়। সংসদে সবকিছু নিয়েই আলোচনা করা যেতে পারে।’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মহিতের দিকে ইঙ্গিত করে সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, এ রায় নিয়ে প্রথমেই একজন সিনিয়র মন্ত্রী বললেন, যত রায় দেয়া হবে ততবার আমরা তা পরিবর্তন করবো। সংবিধান পরিবর্তন করবো। প্রলাপ কাকে বলে? রায় নিয়ে যে সব বক্তব্য দিয়েছে এগুলো আদালত অবমাননা কিনা? এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘যেভাবে বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে সরকার লড়াইয়ে নেমেছে তা আদালত অবমাননা কি না- আদালত দেখতেই পারে। সে ক্ষমতা তাদের রয়েছে।

বি চৌধুরী আরও বলেন, আমরা কাউকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবো না। বিচারকদের ক্ষেত্রে, আপনারা যে রায় দিয়েছেন সেটা সঠিক, পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন এটা সঠিক, এটা সরকারকে আজ হোক কাল হোক মানতেই হবে। কারণ, যে কথাগুলো রায়ে বলা হয়েছে তা মানুষের মনেরই কথা।ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিচার বিভাগকে প্রতিপক্ষ বানিয়েছে সরকারি দল। তাদের উচিত বিচার বিভাগকে প্রতিপক্ষ না বানিয়ে রাজনৈতিক ময়দানে নজর দেয়া।’

রায়কে স্বাগত জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকারের  আচরণ দেখে মনে হচ্ছে তারার বিচার বিভাগের ওপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করছে। সরকার চাপ দিয়ে রায় প্রত্যাহার করাতে চাচ্ছে।তিনি বলেন, দেশের মানুষ এ রায় মেনে নিয়েছে। এ রায় ১৬ কোটি মানুষের মনোপুত হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের মনের কথা রায়ে উঠে এসেছে।

সভাপতির বক্তব্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম  আবদুর রব বলেন, রাষ্ট্র বিচার বিভাগের প্রতি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এর পরিণতি ভালো হবে না। গত ৪৬ বছরের ইতিহাসে এমন  নজির নেই।