অবৈধভাবে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ-অগ্রণী ব্যাংকের এমডি অপসারণের সিদ্ধান্ত
এস রহমান : অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করায় শুনানি শেষে সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি। তাতে বুধবার বিকেলে অনুমোদন দেন গভর্নর।আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে চিঠি দিয়ে তাঁকে অপসারণের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। তাঁর শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার।
ব্যাংকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘গভর্নর অনুমোদন দিয়েছেন, এর অর্থ হলো অপসারণের সব প্রক্রিয়া শেষ। এখন শুধু চিঠি দেয়া বাকি। অফিস সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় কাল সকালে চিঠি যাবে।’
অবৈধভাবে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করায় শুনানি শেষে সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্থায়ী কমিটি। তাতেই আজ বুধবার বিকেলে অনুমোদন দেন গভর্নর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, তানাকা গ্রুপের ১২০ কোটি টাকা, মুহিব স্টিল কোম্পানির ৯১ কোটি টাকা, মারহাবা টেক্সটাইলের ৪৫ কোটি টাকা, মাহিদ অ্যাপারেলে ১০৯ কোটি টাকা, এআরটি শিপ ব্রেকিং লিমিটেডের ৫০ কোটি টাকা এবং মিউচ্যুয়াল কনসার্ন কর্পোরেশন লিমিটেডের ২০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের হিসাবকে সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে ঋণ পুনঃ তফসিল করেছেন আব্দুল হামিদ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, এসব প্রতিষ্ঠানকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান কোনো কিছুই মানেননি তিনি। এমনকি ব্যাংকটির বোর্ড সদস্যদের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও তা মানা হয়নি।
এছাড়াও বিধি ভেঙে মুন গ্রুপ ও জয়নব ট্রেডিংকে ঋণ দেওয়া হয়।এনিয়ে দুদকে অভিযোগ হলে তারা ঘটনা তদন্ত করে এর সতত্যা পান। এর প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তাসহ মুন গ্রুপের এমডি মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।