স্টাফ রিপোর্টার. কক্সবাজার: মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে যাওয়ার পথে মিয়ানমার উপকূল থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫০ জন বাংলাদেশিকে বিজিবির হাতে হস্তান্তর করেছে বিজিপি। আজ সোমবার বেলা আড়াইটায় কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাঁরা দেশে প্রবেশ করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, ১৫০ বাংলাদেশিদের মধ্যে কক্সবাজারের ৩৪, নরসিংদীর ৫৫, চট্টগ্রামের ৮, বান্দরবানের ১০, ঝিনাইদহের ১২, পাবনার ৫, চুয়াডাঙ্গার ৪, বাগেরহাটের ৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬, সুনামগঞ্জের ৪, নারায়ণগঞ্জের ২, টাঙ্গাইলের ৩, যশোরের ২ এবং কুমিল্লার ১ জন রয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত ২১ মে মিয়ানমার উপকূল থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশী ২৮৪ জনকে উদ্ধার করে সেখানকার নৌবাহিনী । এঁদের ঢেকিবুনিয়া ১নং মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) ব্যাটালিয়নে রাখা হয়। এ নিয়ে আজ ঢেকিবুনিয়ায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ১৫০ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে হস্তান্তর করে মিয়ানমার।
বিজিবি সূত্র জানায়, আজ সকাল পৌনে ১০টায় বিজিবি কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলমের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলটি ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারে প্রবেশ করে। এরপর সেখানকার ঢেকিবুনিয়া মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একটি ফাঁড়িতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিজিবি কক্সবাজার ১৭ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মেজর ইমরান উল্লাহ সরকার, মেজর আমিনুল হক প্রমুখ।
লে. কর্নেল খন্দকার সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ১৫০ জনকে গাড়িতে করে কক্সবাজার নিয়ে আসা হচ্ছে। বিস্তারিত সেখানে বলা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তালিকা ধরেও আমরা বাংলাদেশি ১৫০ জনকে চিহ্নিত করে দেশে নিয়ে এসেছি। কক্সবাজারের পুলিশ যাচাইবাছাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
সকাল থেকে ঘুমধুম সীমান্তে অবস্থান করছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন ও পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ। ঘটনাস্থল থেকে নাথ জানান, ১৫০ জনকে ছয়টি বাসে তুলে কক্সবাজারের একটি কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। সেখানে গিয়ে তাঁদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। নৌপথে মানবপাচারকারী ওই সব ব্যক্তিকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।