অবশেষে ১০ ঘণ্টার পর বসুন্ধরা সিটির আগুন নিয়ন্ত্রণে-ক্ষতি-৩০-৪০ কোটি
বিশেষ প্রতিনিধি : অবশেষে দীর্ঘ প্রায় ১০ ঘণ্টা অবিরত চেষ্টার পর বসুন্ধরা সিটির আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত ৮টা ৫০ মিনিটে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।
তিনি বলেন, ২৯টি ইউনিটের অক্লান্ত পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর অজিত রায় ভৌমিকের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। এই দলকে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে, সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) শাকিল নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, আগুন আয়ত্তে আনা হয়েছে। তবে তা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে। আগুনে ১০০ দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামী বুধবারের আগে বসুন্ধরা সিটি খোলা সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, আগুনের পরিধি এখন চার থেকে পাঁচটি দোকানের মধ্যে রয়েছে। দোকানগুলোর দরজা আগে থেকে বন্ধ ছিল। এগুলো অধিকাংশই জুতার দোকান। সেখানে রাবারও আছে। আগুনের ফলে জুতা ও রাবার গলে গিয়ে দরজা স্পর্শ করায় তা অনেকটা সিলগালার মতো হয়ে গেছে। তাই দরজা কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অভিজাত এ শপিং মলটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে আসে। আগুন নেভাতে ২৯টি ইউনিট কাজ করে।
‘বসুন্ধরায় আগুন, ক্ষতি ৩০-৪০ কোটি টাকা’
রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমলের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৩০-৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি এম এ হান্নান আজাদ। রোববার সন্ধ্যায় বসুন্ধরা সিটির সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
হান্নান আজাদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এই ক্ষতিক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে।
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি সপ্তাহে মার্কেটের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র চেক করা হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস থেকে তা করা হচ্ছে না। ফলে আজ আগুন লাগার পর অনেক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র কাজ করেনি। অনেক দোকানের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে।