অবশেষে হাসের ‘সম্পর্ক উন্নয়ন’
বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার পরিস্থিতি নেই:বাণিজ্য সচিব
কূটনৈতিক রিপোর্টার : ছুটি কাটিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পর পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।বৈঠকের একটি ছবি দিয়ে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করতে আজ রুটিন বৈঠক করেছেন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস এবং পররাষ্ট্র সচিব মোমেন।
ছুটি থেকে ২৭ নভেম্বর দেশে ফিরে তিন দিনের মাথায় পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করলেন পিটার হাস।তবে বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বা মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেউই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। ওদিকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার দেয়ার পরিস্থিতি নেই বলে জানিয়েছেন, বাণিজ্য সচিব। তিনির বলেছেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার দেয়ার পরিস্থিতি সৃষ্ঠি হয়নি।
বাংলাদেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেছেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো কিছু দেখছি না।
বাণিজ্য সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে শ্রম অধিকার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত স্মারকের কোনো সম্পর্ক নেই।বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রম অধিকার নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশের দূতাবাসের দেয়া চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেন, আমেরিকা থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের সঙ্গে এই চিঠির সম্পর্ক নেই। এ চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনো চাপ অনুভব করছে না।আমরা প্রতিনিয়ত এসব নিয়ে কাজ করছি। সামনে দেশের শ্রমিকদের অধিকার কীভাবে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেদিকে জোর দিচ্ছি।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ওয়াশিংটন থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কিছু অবজারভেশনের কথা রয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও আইএলওর বাংলাদেশের শ্রম আইন নিয়ে কিছু কথা আছে।আমরা সেটা উন্নত করার চেষ্টা করছি। আমি মনে করি, এ চিঠি নতুন কিছু না। আমেরিকার এ নীতি সব দেশের জন্যই।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, এই বৈঠকটি ছিলো হাসের ছুটি শেষে কাজে যোগদানের পর নিয়মরক্ষার বৈঠক। বৈঠকে নির্বাচন বা অন্য কিছু নিয়ে আলোচনা হয়।পদ্মায় অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদ উল আলম প্রমুখ।