অবশেষে সানি নাসরীনকে কাছে ডাকলেন !
কোর্ট রিপোর্টার : যৌতুকের মামলায় জামিন পেয়ে বাদী নাসরীন সুলতানাকে কাছে ডাকলেন ক্রিকেটার আরাফাত সানি। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম নূর নবীর আদালত থেকে জামিন পান সানি। তারপরই নাসরীনকে ডেকে বলেন, ‘নাসরীন, এদিকে আসো; চলো চলো।’
সানির জামিনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নাসরীন সুলতানা কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সানির আইনজীবী এম জুয়েল আহম্মেদ বলেন, আজ সানি আত্মসমর্পণ করে আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন। তবে জামিনের ক্ষেত্রে নাসরীনের কোনো বিরোধী বক্তব্য ছিল না।
নাসরীন এ মামলায় তাঁর আগের নিয়োজিত আইনজীবী পরিবর্তন করে নতুন করে আইনজীবী রেখেছেন বলেও জানান আইনজীবী। জুয়েল আহম্মেদ আরো বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় সানি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজিরা দেবেন। সানির আইনজীবী ছাড়া আদালতে উপস্থিত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালতে সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরীন সুলতানা ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সানির বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। সে সমনের পরিপ্রেক্ষিতে সানি আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন।
নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর সানির সঙ্গে নাসরীনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সানি নানা অজুহাতে নাসরীনকে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে অসম্মতি জানান। কিছুদিন আগে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঠিয়ে তরুণীকে হুমকি দেন। সানি ও তাঁর মা ২০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় তাঁকে বিভিন্নভাবে গালাগালি করতে থাকেন।
এর পরে ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর নাসরীন তাঁকে ঘরে তুলে নেওয়ার জন্য বললে সানি যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি আরাফাত সানির মা নার্গিস আক্তার মোহাম্মদপুর থানাসংলগ্ন এলাকায় রাস্তায় মামলার বাদী নাসরীন আক্তারকে যৌতুকের জন্য মারধর করেন।
এ ছাড়া নাসরীনের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় সানি জামিনে মুক্ত আছেন। গত ২২ জানুয়ারি সকালে ঢাকার আমিনবাজার এলাকা থেকে সানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় একদিনের রিমান্ড ভোগ করেছেন সানি। এর পরে বেশ কয়েক দিন ধরে কারাগারে আটক ছিলেন সানি।