অবশেষে রুপার লাশ তুলে হস্তান্তর
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণ ও পরে হত্যার শিকার রূপার লাশ কবর থেকে তুলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুর রহিমের উপস্থিতিতে কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। নির্বাহী ও জুডিশিয়াল বিভাগের মধ্যে সৃষ্ট জটিলতা শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মো. নূরুল আমিন রূপার লাশ উত্তালন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার রূপার বড় ভাই হাফিজুল ইসলামের করা আবেদন নিয়ে নির্বাহী ও জুডিশিয়াল বিভাগের মধ্যে জটিলতার সৃষ্টি হয়। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান খান আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন হওয়া ধর্ষণ ও হত্যার শিকার রূপার লাশ সিরাজগঞ্জর তাড়াশে নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়ে মামলার বাদী ও বড় ভাই হাফিজুল বুধবার আবেদন করেন। তার আবেদন নিয়ে জুডিশিয়াল ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে কার দায়িত্ব এ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী বিভাগ দায়িত্ব নিয়ে রূপার লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে পরিবারের সদস্যরা একটি অ্যাম্বুলেন্সে রূপার লাশ নিয়ে তাড়াশের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে রূপার লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।