অবশেষে বাংলাদেশে দুর্নীতি কমেছে: টিআই
বিশেষ প্রতিনিধি : বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান এখন ১৫তম। বুধবার বার্লিন থেকে সারাবিশ্বে একযোগে প্রকাশিত দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) ২০১৭ সালের দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে. সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এবার ১৫। গত বছর যা ছিল ১৩।
বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইএর এর বাংলাদেশ শাখা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। তিনি জানান, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ দেশের মধ্যে অবস্থানের পাশাপাশি স্কোরের দিক দিয়েও উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। গত বছর যেখানে স্কোর ছিল ২৫, এবার তা এক বেড়ে হয়েছে ২৬।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশের মতোই সমান স্কোর পেয়েছে আরও পাঁচটি দেশ। এগুলো হলো ক্যামেরুন, গাম্বিয়া, কেনিয়া, মাদারগাস্কা ও নিকারাগুয়া।
টিআই এর ২০১৭ এ প্রকাশিত দুর্নীতির ধারণা সূচক (করাপশান পারসেপশন ইনডেক্স বা সিপিআই) ২০১৬ অনুযায়ী সূচকের ০-১০০ এর স্কেলে বাংলাদেশে স্কোর ২৬। তালিকায় নিম্নক্রম অনুযায়ী ১৭৬ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫তম। আগের চেয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এ বছর ঊর্ধ্বক্রম অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৫তম।
টিআইয়ের দুর্নীতির ধারণাসূচকে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় শীর্ষে ছিল। ২০০৬ সালে এসে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এক নম্বর থেকে তিন নম্বরে আসে। ওই বছরের সূচকে বাংলাদেশের নম্বর ছিল দুই। এর পর ২০০৭ সালে সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান সাত, ২০০৮ সালে ১০ নম্বর, ২০০৯ সালে ১৩, ২০১০ সালে ১২, ২০১১ ও ২০১২ সালে ১৩, ২০১৩ সালে ১৬, ২০১৪ সালে ১৪ এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে ১৩ নম্বর অবস্থানে ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপার্সন অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আলী ইমাম মজুমদার, এম. হাফিজউদ্দিন খান ও সদস্য সুমাইয়া খায়ের প্রমুখ।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বের ১২টি খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জরিপ থেকে পৃথকভাবে তথ্য সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে দুর্নীতির ধারণাসূচক প্রতিবেদন তৈরি করে। কিছু জরিপের তথ্য সাধারণভাবে সব দেশের জন্য ব্যবহৃত হলেও বিভিন্ন দেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রযোজ্য জরিপটি বেছে নেওয়া হয়।