অবশেষে বহু গাড়ির বাহাদুরি শেষ হচ্ছে-সংসদে কাদের
সংসদ রিপোর্টার : অবশেষে বহু গাড়ির বাহাদুরি শেষ হচ্ছে- একটি পরিবার যত খুশি তত গাড়ি রাখবে—এই নিয়ম আর থাকবে না। প্রতিটি পরিবার সর্বোচ্চ কয়টি গাড়ি রাখতে পারবে, তার সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব করে আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ কথা বলেন।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের এ-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একটি পরিবারে একটির বেশি গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না—এখন পর্যন্ত এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মোটর ভেহিক্যাল অর্ডিন্যান্স ১৯৮৩-এর পরিবর্তে দুটি ভিন্ন আইন প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।
এর একটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, অন্যটি সড়ক পরিবহন আইন। খসড়া সড়ক পরিবহন আইনে পরিবারপ্রতি গাড়ি সংখ্যার ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।’
অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গাড়িচালকদের প্রশিক্ষণ দরকার। তারা স্টিয়ারিং ধরেই গাড়ি চালাতে চায়। নিয়মশৃঙ্খলা মানতে চায় না। ফ্রি স্টাইলে চলতে চায়। এ ব্যাপারে মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠক করেছি। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
তরীকত ফেডারেশনের নজিবুল বশরের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। ১৪টি বাইপাস, ২৩টি সেতু ও ২৩০টি কালভার্ট নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে। আশা করছি, মে মাসের শেষ নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লার প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতায় ২১ হাজার ৩০২ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক ৩ হাজার ৮১২ কিলোমিটার।
এই সাংসদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা রোধে চার লেন একমাত্র সমাধান নয়। এ জন্য সচেতনতা দরকার। এ ছাড়া চালকেরা অনেক সময় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান। তাঁরা স্টিয়ারিং ধরেই পথের রাজা হয়ে যান। আইন মানতে চান না, যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।