• মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর ২০২৪

অবশেষে ‘তাল-মিলিয়ে’ সূচি’র ভাষণ


প্রকাশিত: ১১:৪২ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ১৭ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭০ বার

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার :  অবশেষে সেই সূচি ‘ক্ষমতাশালী জান্তার সঙ্গে তাল-মিলিয়ে রোহিঙ্গা’র আসল পরিস্থিতি পাশ কাটিয়ে’ ভাষণ suchi vashon-www.jatirkhantha.com.bdদিলেন। তবে তিনি বলেছেন, রাখাইন থেকে মুসলমানদের পালিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে তাঁরা উদ্বিগ্ন। তাঁরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানান।

আজ বুধবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে সু চি এ কথা বলেন। তাঁর ভাষণ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। মিয়ানমারের রাখাইনে সবশেষ সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখলেন সু চি। রাখাইনে চলমান দমন-পীড়নের মুখে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটে এত দিন নীরব থাকায় সমালোচিত হচ্ছিলেন সু চি।

মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, রাখাইন সহিংসতায় সব মানুষের দুর্ভোগ গভীরভাবে অনুভব করেন তিনি। সু চি বলেন, ‘রাখাইন থেকে মুসলিমরা কেন পালিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে চাই।’
বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের সত্যাসত্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া যেকোনো সময় শুরুর ব্যাপারে মিয়ানমার প্রস্তুত বলে জানান সু চি।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বলেন, ‘আমরা শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা রাখাইনে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’এনএলডি নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’ অন্যকে দোষারোপ করা বা দায়িত্ব এড়ানো মিয়ানমার সরকারের উদ্দেশ্য নয় উল্লেখ করে সু চি বলেন, ‘আমরা সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বেআইনি সহিংসতার নিন্দা জানাই।’

রাখাইন সংকট প্রসঙ্গে সু চি বলেন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ আছে। তাঁদের সব কথাই শুনতে হবে। কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগে অভিযোগগুলো যে তথ্যপ্রমাণনির্ভর, তা নিশ্চিত করতে হবে। পরিস্থিতি দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রাখাইন পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন সু চি। এ ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে তাঁর সরকার কাজ করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের রাখাইন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ভীত নয় বলে উল্লেখ করেন সু চি। তিনি বলেন, মিয়ানমার একটি নবীন ও ভঙ্গুর দেশ। তাঁরা অনেক সমস্যা মোকাবিলা করছেন। সব সমস্যাই মোকাবিলা করতে হবে। কিছু সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে হবে না।

রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন সূচি-

তিনি জানান, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মুসলিমদের সঙ্গে তিনি সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী। তিনি বলেন, রাখাইনে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করা হবে। ভাষণে সু চি বলেন,  রাখাইন সংকটের টেকসই সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সতর্কবার্তার বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ভীত নয়। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই, ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।’