• সোমবার , ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অবরোধের ফেরে খালেদা-তাঁর সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ-বুধবার অশনি সংকেত!


প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ৬ জানুয়ারী ১৫ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

 

kh-------- oborod-www.jatirkhantha.com.bdপ্রিয়া রহমান.ঢাকা:
অবরোধের ফেরে খালেদা জিয়া-তাঁর সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত কোনো সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেবে না সরকার। গুলশানের কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হবে না। এ কারণে গত রাতে তাঁর কার্যালয়ের সামনে রাখা বালু ও ইটভর্তি ১১টি ট্রাক সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। তবে আপাতত কার্যালয় থেকে বাসা ছাড়া আর কোথাও যাতায়াতের সুযোগ তিনি পাবেন না।আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এ জানা গেছে।

ওদিকে বুধবার অশনি সংকেত দেখা দিতে পারে।কারণ, ওইদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার কথা। তিনি আদালতে হাজির না হলে বা ‘বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে খালেদা জিয়াকে বাসায় ফেরত পাঠানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ মঙ্গলবারও গুলশানে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অবরুদ্ধ’ রয়েছেন। গত শনিবার রাত থেকে সেখানে আছেন তিনি।আজ সকালে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে গিয়ে দেখা যায়, বালু ও ইটভর্তি ট্রাকগুলো নেই। ওই সড়কে আড়াআড়িভাবে প্রায় এক ডজন ট্রাক রাখা হয়েছিল।
তবে গুলশান-২-এর ৮৬ নম্বর সড়কটিতে আজও রাখা হয়েছে পুলিশের সাঁজোয়া যান, জলকামান ও কয়েকটি ট্রাক। জলকামানটি রাখা হয়েছে কার্যালয় তাক করে।
কার্যালয়ের প্রধান ফটক আজও তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। সকালে ফটকের সামনে এক সারি পুলিশ ছিল। পরে দুই সারি পুলিশ অবস্থান নেয়।
সকালের দিকে পুলিশের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলকভাবে কম। এখন সেখানে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে প্রায় ১০০ জন পোশাকধারী পুলিশ রয়েছে বলে নাম প্রকাশ না করে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। র‌্যাবের সদস্যরা না থাকলেও আছে সাদা পোশাকধারী পুলিশ।
কার্যালয়ের পকেট ফটক দিয়ে আজ সকালে ভেতরে খাবার সরবরাহ করতে দেখা গেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আপাতত কোনো সভা-সমাবেশ করার সুযোগ দেবে না সরকার। গুলশানের কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হবে না। এ কারণে গত রাতে তাঁর কার্যালয়ের সামনে রাখা বালু ও ইটভর্তি ১১টি ট্রাক সরিয়ে নিয়েছে পুলিশ। তবে আপাতত কার্যালয় থেকে বাসা ছাড়া আর কোথাও যাতায়াতের সুযোগ তিনি পাবেন না।
আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্রের সঙ্গে কথা বলে এ জানা গেছে। এসব সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করে আন্দোলন চালানোর কৌশল নেওয়ায় সরকারও কৌশলে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। খালেদা জিয়া যাতে আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ না পান, সে ব্যাপারেও সরকার সতর্ক আছে। আর খালেদা জিয়া যদি নিজ কার্যালয়ে টানা অবস্থান করেন, তাঁকে সেখান থেকে জোর করে বের করার কথাও সরকার ভাবছে না। তবে তাঁকে দলীয় নেতা-কর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হবে। এ কার্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি অব্যাহত থাকবে।
খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে টানা অবস্থান করলে সরকারের পদক্ষেপ কী হবে—এ বিষয়ে  আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী  বলেন, ‘দেখি, কয় দিন তিনি ওখানে থাকতে পারেন।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানান, খালেদা জিয়া দলীয় নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেও দেশে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। বিষয়টি সরকারের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর। এ কারণে সরকারও কৌশলে পরিবর্তন এনেছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে।

আগামীকাল বুধবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার কথা। তিনি আদালতে হাজির না হলে বা ‘বিশৃঙ্খল’ পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তবে খালেদা জিয়াকে বাসায় ফেরত পাঠানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে।
এদিকে বিএনপির টানা অবরোধ কর্মসূচি দেওয়ায় আওয়ামী লীগ আগের মতোই ঢাকার রাজপথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খালেদা জিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ ডাকার পর গতকাল রাতেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টেলিফোনে জেলা নেতাদের সতর্ক করে মাঠে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দল যাতে মাঠে নামার কোনো সুযোগ না পায়, সে জন্য দলের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
অবশ্য সরকারি দলের নীতিনির্ধারকেরা এও মনে করছেন, বিএনপি এই অবরোধ কর্মসূচি দীর্ঘায়িত করতে পারবে না। কারণ, ৯ জানুয়ারি থেকে তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হচ্ছে।