• শুক্রবার , ২২ নভেম্বর ২০২৪

অফিস কলিগ বুকের দিকে তাকান?


প্রকাশিত: ৬:৫৯ পিএম, ২০ জুন ১৮ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৪৫ বার

ডেস্ক রিপোর্টার :  কাজের জায়গায় মেয়েদের নানা ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। যাকে আমরা অফিস বা সাজানো-গোছানো কাজের ananya-biswas-sangita-das-and-labani-bhattacharyaজায়গা বলি, সেখানে পুরুষ সহকর্মীদের চোখ বার বার যদি কারো বুকের দিকে যায়, তবে ঠিক কীভাবে সেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে নিজেদের বাঁচাবেন মহিলারা! এই বিশেষ বিষয়টি এমন যে, তথ্যপ্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করা যায় না। তবে?

অভিনেত্রী অনন্যা বিশ্বাস বললেন, ‘সবাই জানে, আমি যা বলি, মুখের ওপর বলি। কথা বলার সময়ে কেউ আমার সঙ্গে এটা করলে, আমি তাকে সরাসরি বলব যে— আপনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। তার পরেও যদি সে কথা না শোনে, তবে কথাটা সম্পূর্ণ না করেই আমি সেই জায়গা ছেড়েই চলে যাব। আর তাকে বলে দেব যে, তার সঙ্গে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সে যে কেউ হতে পারে, অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক, যে কেউ।’

এখানে অবধারিত ভাবে একটা প্রসঙ্গ আসবে। যারা মেয়েদের পোশাক নিয়ে ছুঁৎমার্গে বিশ্বাস করেন, তারা বলবেন যে মেয়েরা যদি অফিসে বা কাজের জায়গায় এমন কোনও পোশাক পরে আসেন যাতে তাদের ক্লিভেজ উন্মুক্ত, তবে তো সেটা সবাইকে দেখানোর জন্যেই। সহকর্মীরা দেখলে সেখানে দোষ কী?

দোষটা আসলে দেখার ভঙ্গিমাতে। কোনও মা যখন সবার সামনে সন্তানকে স্তন্যপান করান, দু’ধরনের পুরুষ সেটা তাকিয়ে দেখেন। একদল যারা মা ও সন্তানকে দেখেন এবং অন্যদল, যারা শুধুই স্তন দেখেন। সহকর্মীর কাছে আকর্ষণীয় হতেই পারেন কোনও নারী, কিন্তু কাজের কথা বলার সময় তার ক্লিভেজের দিকে তাকানো, আসলে সেই নারীর পেশাদারিত্বকে অসম্মান করা! আর সেটা বিকৃতির পরিচয়।

কাজের জায়গায় এই ধরনের পরিস্থিতিতে অনেকবার পড়েছেন জনসংযোগ কর্মী সঙ্গীতা দাস। জানালেন, ‘আমার সঙ্গে অনেক বার এমনটা ঘটেছে, অনেকের সঙ্গেই ঘটে। আমার মনে হয়, সরাসরি বলে দেওয়া উচিত। আমি এখন যেখানে কাজ করি, সেখানে এরকম কিছু হয়নি কিন্তু আগের অফিসে ঘটেছে। আর সেখানে আমি কিন্তু স্পষ্ট ভাষায় আমার বিরক্তির কথা জানিয়েছি।’

তবে অভিনেত্রী লাবণী ভট্টাচার্য সম্পূর্ণ অন্য পার্সপেক্টিভ থেকে এই সমস্যাকে দেখছেন। টেলিভিশনের এই অভিনেত্রীর মতে, যুক্তি, এথিকস, সৌজন্যবোধ, মেয়েদের সম্মান প্রদর্শন, এগুলো তো সব পুরুষ সহকর্মীদেরই জানা। তার পরেও তো একই জিনিস ঘটতে থাকে। তাই একটু অন্যভাবে এই ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যাক।

লাবণী জানালেন, ‘কেউ যদি কথা বলতে বলতে বার বার এমনটা করে, তাহলে আমি কিচ্ছু না বলে, হাঁটু মুড়ে নীচু হয়ে যাব, তাহলে তার চোখের লেভেলে আমার চোখটা এসে যাবে। তখন নিশ্চয়ই সে বুঝবে। একবারে না বুঝলে, বার বার এমনটা করব এবং হাসতে হাসতে করব। তার পরে নিশ্চয়ই তার একটু লজ্জা করবে!’