• বুধবার , ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা-দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সফল ভোট


প্রকাশিত: ১২:৪০ এএম, ৮ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫২ বার

অষ্টমবারের মতো ভোটে জিতে নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসলে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন আপনি। আপনার এ জয় বিশ্বের লৌহমানবীর জয়। আপনি অপরাজেয়, আপনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং আপনি অপ্রতিরোধ্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সেরা কারিগর।

 

 

শফিক রহমান : সাবাস শেখ হাসিনা, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় আপনার দৃঢ়তা বিচক্ষণতা,সাহসিকতায়। বাংলাদেশ বিরোধী শক্তিধর দেশগুলির চিন্তা চেতনাকে পাল্টে দিলেন আপনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সফল ভোট করে আপনি দেখিয়ে দিলেন আপনার গণতান্ত্রিকতাকে। টানা অষ্টমবারের মতো ভোটে জিতে নির্বাচিত হলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসলে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন আপনি।
আপনার এ জয় বিশ্বের লৌহমানবীর জয়। আপনি অপরাজেয়, আপনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং আপনি অপ্রতিরোধ্য বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সেরা কারিগর। এবার আপনার দৃঢ়তায় দুর্নীতি সিন্ডিকেট দালাল মধ্যসত্বভোগীরা পালাক এটাই আশা করছে বাঙ্গালীরা।

টানা চতুর্থ বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে এবার আপনার স্মার্ট বাংলাদেশ কায়েম করতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে একচেটিয়া ব্যবসা বা সিন্ডিকেট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে বাজার ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চাঁদাবাজ দালাল-ফরিয়া মধ্যসত্বভোগীদের হঠিয়ে সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করতে হবে-এগুলোই প্রত্যাশা করছে স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিকরা।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী গোপালগঞ্জ-৩ আসনে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ হাসিনা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এক হাজার ভোটও পাননি। এই আসনে শেখ আবুল কালাম নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পেয়েছেন ৪৬৯ ভোট। সবগুলো কেন্দ্রের ফলাফলে টানা অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে রোল মডেলে পরিচিত করার কুশলীও তিনি। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র খেতাব উড়িয়ে দিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ থেকে আগামী ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর দেশ নেত্রী মমতাময়ী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের শিকার হলেও দমে যাননি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা গোটা বাংলাদেশকেই তার পরিবার বলে মনে করার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন। তাঁর সৎ সাহস বিশ্বব্যাংকেও কাঁপ ধরিয়েছে। যে কারণে শেখ হাসিনা কখনো দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে সরে আসেননি। দেশবিরোধী চক্রের কারণে দীর্ঘ সময় পার করে দেশের আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাল ধরেন তিনি।

২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মামলা-গ্রেপ্তারও হন শেখ হাসিনা। কিন্তু থেমে থাকেননি দমানো যায়নি শেখ হাসিনাকে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর জয়ের মাধ্যমে শুরু হয় মহা উন্নয়নযজ্ঞ শেখ হাসিনার। এরপর টানা ক্ষমতায় থেকে দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে সরকার, যার কৃতিত্ব শেখ হাসিনার বাংলাদেশের।

শেখ হাসিনার বিচক্ষণতায় দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, অবকাঠামোর উন্নয়ন, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও পাকাকরণ, শিক্ষা, চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে রেমিটেন্সে প্রণোদনা, পোশাকখাতে উন্নয়ন, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর হস্তে নিজেকে নিয়োজিত করে সফল হয়েছেন।

শেখ হাসিনা দৃঢ়তায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে বাংলাদেশে।একইভাবে জঙ্গীবাদ দমন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে এসব নেতিবাচক প্রভাব গত দেড় দশকেও চাড়া দিতে পারেনি। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, সরকারি সেবা ডিজিটালাইজেশন, গ্রামীন পরিবেশেও শহুরে সেবা নিশ্চিত করেছে আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা। সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে থাকায় আওয়ামী লীগের পুরো অংশই শেখ হাসিনার ওপর নির্ভরশীল।

দেখা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একমাত্র দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পর্যন্ত নিজের তত্ত্বাবধানে দেখভাল করেন শেখ হাসিনা স্বয়ং। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে অনেক বড় বড় নেতাকেও অপসারণ করার দৃঢ়তাও দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে যে সংগঠন চলে সেখানে দেশ তথা দেশের মানুষের সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিতেও বদ্ধপরিকর আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা।

গত তিনবার ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা পৃথিবীর বুকে নতুন করে বাংলাদেশকে চিনিয়েছেন। মেগাসিটি ঢাকায় মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি টানেল, রূপপরে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (চলমান) তার হাতেই গড়ে উঠেছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর প্রক্রিয়াও চলমান।

দেশী-বিদেশী বিরোধীদের মুখে কালিমা লেপে দিয়ে তিনি প্রমত্তা পদ্মার বুকে ৬ কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যের পদ্মাসেতু তৈরি করে সারা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।মনে আছে- সকল অপবাদ মিথ্যাচার উড়িয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরির সাহস একমাত্র শেখ হাসিনাকে দিয়েই সম্ভব হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধারাবাহিক উন্নয়নের মাধ্যমে সহিংসতার পরিমান শূণ্যের কোটায় নামিয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। তার দার্শনিক নেতৃত্বেই বাংলাদেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হয়ে এখন পরিণত হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশে। গত তিনবার ক্ষমতায় থাকা দলটি দেশের আমূল পরিবর্তন করে এখন উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান হয়ে সারা বিশ্বকে জানান দিয়ে চলেছেন বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা। জয়তু শেখ হাসিনা।