‘অপারেশন শরতের তুফান’গাজীপুর টাঙ্গাইলে ১১ জঙ্গি নিহত
সাইফুল বারী মাসুম : গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে র্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে ১১ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ শনিবার বিকাল ৪টার দিকে এক প্রেসব্রিফিংয়ে গাজীপুরে ৯ জঙ্গি নিহতের কথা সাংবাদিকদের জানান। অন্যদিকে টাঙ্গাইলে র্যাবের অভিযানে ২ জঙ্গি নিহতের কথা জানিয়েছেন এসপি মাহবুব আলম।
আমাদের গাজীপুর ও টাঙ্গাইল প্রতিনিধি সরেজমিনে জানান, গাজীপুরের হরিনাল এলাকার পশ্চিমপাড়ার আতাউর রহমানের এক তলা বাড়িতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চলানো হয় আজ সকালে। এ সময় র্যাবের অভিযানে ২ জন নিহত হয়। একই সন্দেহে এক কিলোমিটার দূরে পার্শ্ববর্তী নোয়াগাঁও পাতারটেক এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে প্রফেসর ওসমানের বাড়িতে ভোর থেকে অভিযান শুরু করা হয়। পরে বিকালের দিকে ৭ জনের নিহতের কথা জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, টাঙ্গাইলে র্যাবের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে দুই জঙ্গি সদস্য নিহত হয়। এই ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কাগমারা মির্জামাঠের পশ্চিমের একটি বাসায় এই অভিযান চালানো হয়। র্যাব, পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজম বাহিনীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এ অভিযানে অংশ নেন।
প্রেসব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান-
প্রেসব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাজীপুরে প্রফেসর ওসমানের বাসা থেকে জঙ্গি আস্তানা থেকে ১টি গ্যাস সিলিন্ডার, ১টি চাপাতি ও বোমার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে এই অভিযানে জঙ্গি কমান্ডার আকাশ নিহত হয় বলে জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজ শনিবার সকাল থেকে পৃথক দুটি স্থানে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে র্যাব, পুলিশ ও কাউন্টার টেরোরিজমের সদস্যরা অংশ নেয়। সবার অংশগ্রহণে অভিযান সফল হয়েছে।
‘অপারেশন শরতের তুফানে’-৭ জঙ্গি নিহত
সাইফুল বারী মাসুম : ‘অপারেশন শরতের তুফানে’ গাজীপুরে ৭ জঙ্গি নিহত হয়েছে। গাজীপুরের পাতারটেকের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান ‘অপারেশন শরতের তুফানে’ ওই আস্তানায় সাত ‘জঙ্গি’ নিহত হয়। সকাল ১০টার দিকে অভিযান শুরুর পর জঙ্গিরাও পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছিল। কিন্তু কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াত, বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে শেষ পর্যন্ত জঙ্গিরা পরাস্ত হয়।
‘অপারেশন শরতের তুফানে’ নিহত সাত জঙ্গির ছবি প্রকাশ করা হলেও তাদের এখনও নাম ঠিকানা ও পরিচয় প্রকাশ করতে পারেনি পুলিশ। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জাতিরকন্ঠকে জানান, ‘ভেতরে থাকা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধারে কাজ চলছে। কিছু আলামত ও ডকুমেন্টস নষ্ট করে দিয়েছে জঙ্গিরা।’