অপহৃত সাংবাদিক উৎপল ফিরলো মায়েরকোলে
ভুলতা প্রতিনিধি : অপহৃত সাংবাদিক উৎপল ফিরলো মায়েরকোলে; মঙ্গলবার রাত ২টা ২০ মিনিটে ভূলতা পুলিশ ফাঁড়িতে এসেই উৎপলকে জড়িয়ে ধরেন তার মা। সাংবাদিক উৎপল দাস জানিয়েছেন, তাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একটা জঙ্গলের মধ্যে টিন-শেড ঘরে আটকে রাখা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকার পর মঙ্গলবারে রাতে ফিরে আসা একটি অনলাইন পোর্টালের এই সাংবাদিক এ কথা বলেছেন।
নিখোঁজ হওয়ার দুইমাস পরে মঙ্গলবার রাতে তাকে নারায়ণগঞ্জের ভূলতা এলাকায় ফেলে রেখে যাওয়া হয় এবং খবর পেয়ে পুলিশ তাকে স্থানীয় ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে নরসিংদী থেকে তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে পৌঁছালে উৎপল দাসকে তাদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এই দুমাসের বেশি সময় কোথায় ছিলেন তিনি- এই প্রশ্নে উৎপল দাস বলেন, “আসলে কোথায় ছিলাম সেটা নিজেও জানি না। আমাকে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।তিনি জানান, ধানমণ্ডিতে একটি রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়ার পর সেখান থেকে বের হলে একটি গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে যায় একদল লোক।
কোথায় রাখা হয়েছিল কিছু ধারণা করতে পারেন কিনা জানতে চাইলে উৎপল দাস বলেন, “আমাকে নেয়া হয়েছিল ধানমণ্ডি থেকে। কিন্তু কোথায় নেয়া হয়েছিল কিভাবে নেয়া হয়েছিল এর বাইরে আমি কিছু জানি না। আমাকে চোখে বেঁধে গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়।”রাতে পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থানের সময় তিনি আরও বলেন, “একটা জঙ্গলের মধ্যে একটা টিন-শেড ঘরের মধ্যে আমাকে আটকে রাখে।
প্রথমদিকে মাঝে মাঝে বলে এত টাকা আছে তোর আছে তুই টাকা দে। টাকা দিলে তোকে ছেড়ে দেব। তারপর যেহেতু আমি টাকা দিতে পারিনাই শেষদিকে তারা এসে আমাকে বলেছে তুই যেহেতু টাকা দিতে পারিসনাই মেরে ফেলবো।এরপর মঙ্গলবার তাকে নারায়ণগঞ্জের ভূলতায় নামিয়ে দেয়া হয়। উৎপল বলেন, “আমাকে তারা বলে, তোর ফোনে চার্জ আছে তুই বাড়ি চলে যা। আমাকে বললো যে পেছনে ফিরে তাকাবি না। আমি আর পেছনে ফিরে তাকাইনি। আর বললো যে, ৫০ গজ পেছনে একটা পেট্রোল পাম্প আছে। আমি সেই পেট্রোল পাম্পে চলে যাই এবং গিয়ে বাড়িতে ফোন করি।