• বুধবার , ২০ নভেম্বর ২০২৪

অপরিপক্ক পরিকল্পনায় জুয়া খেলেছে মাশরাফি-টাইগাররা


প্রকাশিত: ১:০০ এএম, ২১ জানুয়ারী ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১০৮ বার

12এস রহমান:   ব্যাটিং অর্ডার ওলটপালট, অনভিজ্ঞ  নয়া চারজনকে সুযোগ করে দেয়া,অভিজ্ঞদের বসিয়ে রাখাসহ অপরিপক্ক পরিকল্পনায় জুয়া খেলেছে টাইগাররা। যার ফলে হাত ফসকে গেছে ম্যাচ। পরিকল্পনা কাজে না লাগায় সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি বড় ব্যবধানে হার লজ্জায় ফেলেছে বাংলাদেশকে।

মাাশরাফি বলেন, সামনে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো দুটি বড় টুর্নামেন্ট। জিম্বাবুয়ে সিরিজটিকে তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ। সে জন্য ব্যাটিং অর্ডারেও হচ্ছে ওলট-পালট। আজ খেলার গুরুত্বপূর্ণ সময়েই যেমন সাকিবকে চারে না নামিয়ে পাঠানো হলো অভিষিক্ত মোসাদ্দেক হোসেনকে।  কিন্তু জুয়াটা কাজে লাগেনি।

11এমন হারের পেছনে সেরা একাদশের পাঁচজন খেলোয়াড় পরিবর্তনের দিকেই আঙুল তুলছেন অনেকে। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজা একেই হারের অজুহাত দাঁড় করাতে রাজি নন। অধিনায়কের চোখে হারের কারণ বৃষ্টি-বাধা ও পরিকল্পনাগুলো ঠিকমতো কাজে না-লাগা।

চার ক্রিকেটারের অভিষেক হয়েছে আজ। সঙ্গে তামিম ইকবালকে বিশ্রাম দেওয়ায় একাদশে নতুন মুখ এসেছিল পাঁচটি। বোলিং এবং ব্যাটিং দুই দিকেই বাংলাদেশকে খানিকটা ভারসাম্যহীন মনে হয়েছে। কিন্তু মাশরাফি হারের পেছনে পুরো দলের ব্যর্থতারই দায় দেখছেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে চারজনের অভিষেক হওয়া এবং একজন পরিবর্তন, বাইরে থেকে অবশ্যই মনে হবে এটাই হারের কারণ।

কিন্তু আমি মনে করি মাঠের পরিকল্পনাগুলো ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনি বলেই আমরা হেরেছি। আমরা যা পরিকল্পনা করেছি সেটা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আর প্রথমে বৃষ্টি হওয়াতে আমাদের বোলিংয়ে অসুবিধা হয়েছে এবং পরে বৃষ্টি না হওয়াতে ব্যাটিং করতে হয়েছে সমস্যা।’

মাশরাফি অবশ্য মোসাদ্দেককে ওই সময়ে নামানোর পক্ষেই যুক্তি দিচ্ছেন, ‘সাকিবকে অবশ্যই চারে নামানো যেত। এটা করা হয়েছে ওই পজিশনে সৈকত কী করে, তা দেখার জন্য। ওটা একটা পরীক্ষা ছিল, নতুন যারা এসেছে তারা কেমন খেলে, তা দেখার জন্য। এক ম্যাচ দেখে সবকিছু বিচার করা যায় না। ও খারাপ করেনি। বোলিংয়ে চাপ রেখে বল করেছে। ব্যাটিং আরও ভালো করার ক্ষমতা ওর আছে।’

আজ ব্যাটিংয়ে ভালো করেছেন সাব্বির ও নুরুল হাসান। মাশরাফি হতাশাময় এক দিনে এখান থেকেই খুঁজে নিচ্ছেন সান্ত্বনা, ‘সাব্বিরের ব্যাটিং দলের জন্য খুবই ইতিবাচক। আশা করি সে এটা চালিয়ে যাবে। তিনে এভাবে ব্যাটিং করা মানে পুরো দলকে চাপমুক্ত করা। আর নুরুলও শেষে ভালো শট খেলেছে। জিম্বাবুয়ে ওই সময় ভালো বোলিং করছিল। তাই পরিকল্পনা পুরো বাস্তবায়ন করতে পারিনি। কিন্তু ওর ব্যাটিং ভালো লেগেছে।’

আজকের এমন হারেও কোনো চাপ অনুভব করছেন না অধিনায়ক। তাঁর মতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটা নতুন কিছু নয়, ‘এর চেয়ে বেশি চাপে আমরা খেলেছি। আমাদের আরও ভালো পরিকল্পনা করতে হবে।’