‘অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে খারাপ করেছে’
মেডিকেল রিপোর্টার : অপরিকল্পিত তড়িৎ নগরায়ণ, জনঘনত্ব, গ্রাম ও শহরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে খারাপ করে তুলেছে।ডেঙ্গুর চারটি ধরনেই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য চিকিৎসকদের উচিত ডেঙ্গুর চিকিৎসাবিধি বা প্রটোকল অনুসরণ করে চিকিৎসা দেওয়া।বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মনে করে, দেশে এখন জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতি চলছে। এটি জাতীয় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। দেশের ৬৩ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ ও মৃত্যু দুই–ই বাড়ছে।
১৬ জুলাই দুপুরে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণবিষয়ক বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ ও বিএমএ নেতারা এসব কথা বলেন। সেমিনারে মুগদা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থী ছাড়াও বিএমএর বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন।সেমিনারে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। প্রথম প্রবন্ধে বিএমএর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুশতাক হোসেন বলেন, ২০২২ ও ২০২৩ সালের মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণের মধ্যে কোনো বিরতি ছিল না।
তাঁর মতে, অপরিকল্পিত তড়িৎ নগরায়ণ, জনঘনত্ব, গ্রাম ও শহরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে খারাপ করেছে। ডেঙ্গুর চারটি ধরনেই মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে জানিয়ে মুশতাক হোসেন বলেন, এখন জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতি চলছে, যা জাতীয় উদ্বেগের কারণ।সেমিনারে দ্বিতীয় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খ্যাতিমান রিউমাটোলজিস্ট ও বিএমএর মেডিকেল জার্নালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক। ডেঙ্গুর বিভিন্ন উপসর্গ বর্ণনা করার পাশাপাশি তিনি বলেন, চিকিৎসকদের উচিত ডেঙ্গুর চিকিৎসাবিধি বা প্রটোকল অনুসরণ করে চিকিৎসা দেওয়া।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএমএর সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আরও সময় দিতে হবে। পাশাপাশি সরকার, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ডেঙ্গুর ব্যাপারে আরও সক্রিয় ও সোচ্চার হতে হবে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএমএর মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী ও মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমান।