অগ্রণী ব্যাংকে দুর্নীতির রাহুগ্রাশ-হামিদ অপসারণ নয়া এমডি মিজান পাকরাও
এস রহমান : এবার অগ্রণী ব্যাংকে দুর্নীতির রাহুগ্রাশ পড়েছে। বিপুল অংকের টাকা নয়ছয় করায় হামিদকে অপসারণ করে কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে নয়া এমডি মিজানকেও পাকরাও করা হয়। এনিয়ে ব্যাংক পাড়ার তোলপাড় চলছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দায়িত্ব নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার হলেন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান খান। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর দিলকুশা এলাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাকে গ্রেফতার করে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
এর আগে সকালে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ আবদুল হামিদকে অপসারণ করা হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৭৯২ কোটি টাকা ঋণ বিতরণে অনিয়মের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আবদুল হামিদকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়।এরপর দুপুরে ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয় মিজানুর রহমান খানকে। তিনি ব্যাংকটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের (ডিএমডি) দায়িত্ব পালন করছিলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানায়, সানমুনস্টার গ্রুপকে বিধিবহির্ভূতভাবে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে তা আত্মসাতের করায় মিজানকে গ্রেফতার করা হয়। একই অভিযোগে পাকরাও করা হয়, ডিজিএম আখতারুল আলম ও এজিএম শফিউল্লাহ। এরা পরস্পর যোগসাজশ করে সানমুনস্টার গ্রুপকে বিধিবহির্ভূতভাবে ১০৮ কোটি টাকা ঋণ দিয়ে তা আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়া হয়। গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করেছেন দুদকের উপপরিচালক বেনজীর আহমেদ।