অং সান সুচি’র ভিমরতি-মিয়ানমারে পরিস্থিতি শান্ত??
চ্যানেল নিউজ এশিয়া অবলম্বনে প্রিয়া রহমান : রোহিঙ্গাদের ওপর সেনা নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে থাকা মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় পরাদর্শদাতা অং সান সু চি বলেছেন, তিনি রাখাইন রাজ্যে পরিস্থিতির উন্নত করতে চান। শুক্রবার সিঙ্গাপুরভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়াকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শান্তিতে নোবেলজয়ী বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি এবং শান্ত করেছি।
’রাখাইনে সেনা নির্যাতন বিষয়ে বরাবর নিশ্চুপ থাকা সু চি বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই দায়ী করেন।মিয়ানমারের নেত্রী বলেন, ‘তবে সবসময় অসন্তোষ প্রকাশ না করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি আমাদের সহায়তা করে, আমি সেটার প্রশংসা করব।’
বর্তমানে রাষ্ট্রীয় সফরে সিঙ্গাপুরে থাকা সু চি বলেন, ‘কেবল মুসলিমরাই আতঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন নয়। রাখাইনরাও উদ্বিগ্ন, তারা উদ্বেগে আছে এ কারণে যে, শতকরাভিত্তিতে রাখাইন জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে এবং অবশ্যই আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আমরা এটা (সম্পর্ক) উন্নত করতে চাই।’
সু চি বলেন, ‘তবে গত ৯ অক্টোবর পুলিশ চৌকিতে হামলার হলেও প্রত্যেকে কেবল পরিস্থিতির নেতিবাচক দিকটা দেখলে তা কোনো সহায়ক হয় না।’ সু চিকে বলা হয় সমস্যার জন্য তো কেবল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দায়ী নয়। এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি তা জানি। আমি বলছি না যে কোনো জটিলতা নেই, তবে জটিলতাকে লোকজন যদি স্বীকৃতি দেয় তাহলে সহায়ক হয়। আর এসব জটিলতা অতিরঞ্জিত না করে সেগুলো নিরসনে মনোযোগ দিচ্ছি আমরা।’
গত অক্টোবর মিয়ানমারের সেনাচৌকিতে হামলায় নয়জন নিহত হন। এরপর দেশটির সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা রাজ্যে অভিযান শুরু করে। এতে তাদের গুলিতে ৬৯ জন রোহিঙ্গা মুসলিম নিহত হয় বলে জানানো হয়। এরপর থেকে হাজার হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ অনুপ্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
এ ছাড়া বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতন, লুঠ, গণধর্ষণ এবং তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তা অস্বীকার করেছে।