• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

৫ হারামীর পেটে জনতা ব্যাংকের ২৫১ কোটি টাকা-নায়ক টিপু পাকরাও


প্রকাশিত: ১:২৭ এএম, ৩১ মার্চ ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৯ বার

 

এস রহমান :   জনতা ব্যাংকের ২৫১ কোটি টাকা লুটপাট করে খেয়ে ফেলেছিল ৫ হারামী।এদের DUDAK-criminal Tipu-www.jatirkhantha.com.bdমধ্যে চার জনই জনতা ব্যাংকের ।ঘটনার নায়ক ঢাকা ট্রেডিং নামের এক হায় হায় কোম্পানীর মালিক টিপ সুলতান।সে জনতা ব্যাংকের হারমীদের কাজে লাগিয়ে লুটে নিয়েছিল এইিবিপুল অংকের টাকা।কিন্তু দুদকের গোয়েন্দাগিরিতে শেষেমেষ ধরা পড়েছে চক্রটি।

দুদক সূত্র জানায়, এক ধাপ্পাবাজ ক্রিমিনাল ও জনতা ব্যাংকের চার হারামী পরস্পর যোগসাজশে খেয়ে ফেলেছিল প্রায় ২৫১ কোটি টাকা। দুদকের গোয়েন্দাগিরি ও গোপন অনুসন্ধানে অবশেষে ধরা পড়েছে চক্রটির প্রধান। কিন্তু এখনও ধরা পড়েনি জনতা ব্যাংকের চার হারামী ক্রিমিনাল।

পণ্য আমদানির নামে এলসি খুলে জনতা ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার প্রধান আসামি টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা থেকে খুলনায় এসে দুদকের বিশেষ টিম বুধবার নগরীর দৌলতপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মতিঝিল থানায় জনতা ব্যাংক থেকে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের মালিক টিপু সুলতানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম মামলাটি (মামলা নম্বর ২২) দায়ের করেন। এ মামলায় বুধবার দুদকের পরিচালক জায়েদ হোসেন খানের নেতৃত্বাধীন একটি টিম টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- দুদকের উপ পরিচালক মো. সামছুল আলম ও জাহাঙ্গীর আলম।

পুলিশ জানায়, রাজধানীর বিজয়নগরে টিপু সুলতানের মালিকানাধীন ঢাকা ট্রেডিং হাউজ। এ প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে তিনি জনতা ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রায় ২৫১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংকের জি এম মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক এজিএম শামীম আহমেদ খান, জনতা ব্যাংক লোকাল অফিসের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. মশিউর রহমান এবং লোকাল অফিসের সাবেক ম্যানেজার এ এস এম জহিরুল অফিসার।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিনি ও বাচ্চাদের খাবার আমদানির নামে জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসে ঢাকা ট্রেডিং হাউজের অনুকূলে এলসি খোলেন মো. টিপু সুলতান। পরে সে এলসির বিপরীতে মালামাল আমদানি না করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এ কোম্পানির হিসাব নাম্বারে ২৫০ কোটি ৯৬ লাখ ১ হাজার ৪৫৫ টাকা স্থানান্তর করেন।

স্থানান্তরিত ওই বিপুল পরিমাণ টাকা ২০১০ থেকে ২০১২ সালের বিভিন্ন সময়ে আসামিরা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। যা দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে মামলাটি দায়ের করা হয়।

নগরীর দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মারুফ আহমেদ জাতিরকন্ঠকে বলেন, জনতা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের দায়েরকৃত মামলার আসামি গ্রেফতারের জন্য দুদক সহযোগিতা চায়। সে অনুযায়ি তাদেরকে সহযোগিতা করা হয়। দৌলতপুরের মেসার্স ঢাকা ট্রেডিং হাউজের মালিক টিপু সুলতানকে গ্রেফতার করে দুদকের টিমের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।