• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

হাতকড়া ডান্ডাবেড়ি’তে মায়ের জানাজায় বিএনপি নেতার জন্যে তথ্যমন্ত্রীর ব্যাকুলতা


প্রকাশিত: ৭:৪৪ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২২ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৬ বার

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ (বামে) ও বিএনপি নেতা আলী আজম (ডানে)

স্টাফ রিপোর্টার : হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি’তে মায়ের জানাজায় অংশ নেয়া বিএনপি নেতার জন্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ব্যতিথ হয়েছেন। তাঁর ব্যাকুলতা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর মর্যাদাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন এমন হলো তা নিয়েও তিনি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষ মানুষের জন্যে একটু সহানূভূতি কি পেতে পারে না।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আলী আজম গতকাল মঙ্গলবার হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়ান। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জানাজার সময় ওই নেতার হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি খুলে দিলে ভালো হতো। আজ বুধবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন হাছান মাহমুদ।

ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় বিএনপি নেতার জানাজায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি নিয়ে চেক করেছি। আমি গাজীপুরের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। ডান্ডাবেড়ি বা হাতকড়া পরানো না পরানো হচ্ছে জেল প্রশাসনের কাজ। সেটি আবার পুলিশের অধীনে নয় এবং একজন আইজিপি প্রিজন আছেন সেই প্রশাসনের অধীনে। আমাদের পুলিশের যে মহাপরিদর্শক, তাদের অধীনে নয়।তথ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন আগে কয়েকজন জঙ্গি পালিয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে যেভাবে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার ছিল, সেটি করা হয়নি বিধায় তদন্তে উঠে এসেছে তারা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এজন্য তারা (গাজীপুর কারা প্রশাসন) অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। আমি এসপি পর্যায়েও কথা বলেছি, তারা বিষয়টি জানতেন না।

হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বিএনপি নেতাকে কেরি (বহন) করে এনেছিল, শুধু তারাই জানতেন; অন্যরা কেউ জানতেন না। তবে আমি মনে করি যে জানাজার সময় তার ডান্ডাবেড়ি এবং হাতকড়া খুলে দিলে ভালো হতো।এর আগে গত রোববার বিকেলে বার্ধক্যজনিত কারণে রোববার বিএনপি নেতা আলী আজমের মা সাহেরা বেগম মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পান আজম। এরপর তিনি কালিয়াকৈরের পাবুরিয়াচালা এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন।

আলী আজমের স্বজনেরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে গত সোমবার বিকেলে গাজীপুর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। কিন্তু ওই দিন দাপ্তরিক কাজ শেষ না হওয়ায় মঙ্গলবার তিন ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি মেলে তার।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন আলী আজম। বেলা ১১টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরেই মায়ের জানাজা পড়ান তিনি। তার মায়ের দাফন শেষ হলে আবার তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।