‘সন্ত্রাস দারিদ্র্য এঅঞ্চলের প্রধান শত্রু’
নেপাল থেকে প্রতিনিধি : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ, দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তন এই অঞ্চলের প্রধান শত্রু। নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমসটেক’র ৪র্থ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে এই শত্রুর বিরুদ্ধে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।বৃহস্পতিবার নেপালে শুরু হয়েছে ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক)’-এর চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার অন্যতম দেশ হিসেবে আমরা খাপ খাইয়ে নেয়া ও প্রশমনে কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। আর সন্ত্রাসবাদ দমনে আমরা সফলভাবে বাস্তাবয়ন করেছি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। শুরুতেই বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় সাত দেশের জোট বিমসটেক এর চতুর্থ সম্মেলনের চেয়ারম্যান কে. পি শর্মাসহ উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের এমনই আগস্ট মাসে আমি আমার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, যার হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আমরা দুইবোন পরিবারের সকলকে হারিয়েছি। বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর দেশ। ১৯৭২ সালে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু প্রথম দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক অর্থনীতি ও সামাজিক অগ্রগতির স্বপ্ন দেখেছিলেন। তখন থেকেই আঞ্চলিক সহযোগিতা আমাদের বৈদেশিক নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। বিমসটেকের মাধ্যমে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আমরা গুরুত্বসহকারে সংযুক্ত হয়েছি।
বিমসটেক’র সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জ্বালানী সহযোগিতা, মানুষে মানুষে যোগাযোগ এবং নিজস্ব অর্থায়ন প্রক্রিয়ার জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন: এ অঞ্চলে আন্তঃবাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সুযোগ রয়েছে এবং সদস্যদেশগুলোর উচিত এই সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানো।
বিমসটেককে আরো সুসংহত ও কার্যকর করতে টেকসই উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এবং যোগাযোগ এই তিনভাগে ১৪টি খাতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলের উন্নয়নের প্রতিবন্ধক হিসেবে দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসবাদকে চিহ্নিত করেন।এর আগে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালে নেপালের কাঠমান্ডুতে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার দেয়া হয়।