• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

শাওনের তদবিরে আটকাল ‘ডুব’ এর মুক্তি-


প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৮৪ বার

বিনোদন রিপোর্টার :  কার তদবিরে আটকাল ‘ডুব’ এর মুক্তি-! এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। dub-www.jatirkhantha.com.bd.-1dub-www.jatirkhantha.com.bd.-3সংশ্লিষ্ঠরা সন্দেহ করছেন শাওনকে?  সূত্রমতে, অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জীবন নিয়েই ‘ডুব’ ছবির চিত্রনাট্য। প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে লেখকের বিচ্ছেদ, এবং মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে— এই সব নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। কিন্তু গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘ডুব’এর মুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানায় সেন্সর বোর্ড।

বাকি ছিল শুধু সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র। কিন্তু তার আগেই হল গলদ! বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চিঠির প্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে গেল মোস্তাফা সরোয়ার ফারুকীর ‘ডুব’ ছবির মুক্তি। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় যে ছবি তৈরি হয়েছিল। অভিনয় করেছেন ইরফান খান এবং পার্নো মিত্র। রয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী নুসরত ইমরোজ তিশা এবং রোকেয়া প্রাচী।
dub-www.jatirkhantha.com.bd.-2
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জীবন নিয়েই ‘ডুব’ ছবির চিত্রনাট্য। প্রথম স্ত্রীয়ের সঙ্গে লেখকের বিচ্ছেদ, এবং মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ে—এই সব নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। কিন্তু গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘ডুব’এর মুক্তির ব্যাপারে আপত্তি জানায় সেন্সর বোর্ড। ‘ডুব’এর ব্যান প্রসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ফোনে ফারুকী বলছিলেন, ‘‘এটা অফিশিয়াল ব্যান নয়। স্থগিতাদেশ। কতদিন স্থায়ী হবে, সেটা জানা নেই!’’
dub-www.jatirkhantha.com.bd.-4
যৌথ প্রযোজনার ছবি তৈরির ক্ষেত্রে তিনটি ধাপ পার হতে হয় বাংলাদেশের পরিচালকদের। ছবির চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ হলে, সেটা রিভিউয়ের জন্য পাঠাতে হয় সেন্সর বোর্ডে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পেলে তবেই শুরু করা যায় ছবির শ্যুটিং। শ্যুটিং শেষ হলে প্রিভিউ কমিটির কাছে পাঠাতে হয়। তাঁরা যদি ছাড়পত্র দেন, তবেই ছবিটিকে সেন্সর বোর্ডের কাছে চূড়ান্ত বিচারের জন্য পাঠানো যায়।

dub-www.jatirkhantha.com.bdফারুকীর কথায়, ‘‘গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রিভিউ কমিটির সদস্যরা ছবিটি দেখেছিলেন। তারপর ১৫ ফেব্রুয়ারি তাঁরা ছাড়পত্রও দিয়ে দেন। কিন্তু পরের দিনই (১৬ ফেব্রুয়ারি) আমাকে জানানো হয়, তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চিঠির কারণে ‘ডুব’এর ব্যাপারে তাঁরা স্থগিতাদেশ দিচ্ছেন। কিন্তু ওঁদের আপত্তিটা ঠিক কোথায়, সেটা আমাকে জানানো হয়নি।’’ ছবি-মুক্তির ব্যাপারে আপনারা কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা

ভাবছেন? ফারুকীর উত্তর, ‘‘বাংলাদেশের সরকারের উপর আমার আস্থা রয়েছে। এই সরকার মানুষকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজন হলে আদালতেও যাব।’’ ছবি-মুক্তির ব্যাপারে যে স্থগিতাদেশ, তা কি যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে? ফারুকীর কথায়, ‘‘যৌথ প্রযোজনায় যত ছবি নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে ‘ডুব’ই সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল ছবি। এই ছবিটা আটকে গেলে, যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের আগ্রহে ভাটা পড়বে!’’

ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্র করেছেন পার্নো। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘কেন ছবিটা আটকে দেওয়া হল, তার কোনও কারণ বলা হয়নি। তাই কমেন্ট করা খুব মুশকিল! তবে এত বড় একটা প্রজেক্ট যখন, নিশ্চয়ই কোনও না কোনও সমাধান বার হবে।’’ ছবিটি কলকাতার ‘এসকে মুভিজ’ এবং বাংলাদেশের ‘জ্যাজ মাল্টিমিডিয়া’ যৌথভাবে প্রযোজনা করছে। এই প্রসঙ্গে ‘এসকে মুভিজ’এর কর্ণধার হিমাংশু ধানুকা বললেন, ‘‘ছবির উপর আস্থা রয়েছে। এই ব্যাপারে ফারুকীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আপাতত ছবিটা হোল্ড করছি। কিন্তু সারা বিশ্বে আমরা ছবিটা একই দিনে রিলিজ করব। লড়াই করতে প্রস্তুত।’’