• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাজ্যের লন্ডন হামলায় নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশি


প্রকাশিত: ৫:৩১ পিএম, ১৯ জুন ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৫ বার

অনলাইন ডেস্ক রিপোর্টার : যুক্তরাজ্যের লন্ডনে মসজিদের কাছে পথচারী মুসল্লিদের ওপর ভ্যান উঠিয়ে দেওয়ার 11ঘটনায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন নাগরিকেরা।যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে একটি মসজিদের কাছে পথচারী মুসল্লিদের ওপর ভ্যান উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনায় নিহত ব্যক্তি প্রবাসী বাংলাদেশি। তবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে টেলিগ্রাফ এ তথ্য জানিয়েছে।

উত্তর লন্ডনের সেভেন সিস্টারস রোডের ফিন্সবুরি পার্ক মসজিদের কাছে রোববার এই হামলা হয়। এতে একজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়। নিহত ওই ব্যক্তি নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

সুলতান আহমেদ নামের দাতব্য কাজে যুক্ত এক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁর চাচাও ঘটনাস্থলে ছিলেন। মসজিদ ছাড়ার পর তাঁর চাচার চোখের সামনেই ভ্যানটি মুসল্লিদের ওপর উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে প্রবীণ ওই বাংলাদেশি মারা যান।

লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। বিষয়টি তাঁরা তদন্ত করছেন।

মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেন (এমসিবি) বলেছে, মুসল্লিদের ওপর উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি ভ্যান তুলে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটি যুক্তরাজ্যের মসজিদ ঘিরে অতিরিক্ত নিরাপত্তা দাবি করেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এই ঘটনাকে ‘ভয়ংকর’ বলে বর্ণনা করেছেন। হতাহত হওয়ার ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি পুরোপুরি হতভম্ব।’

ঘটনার পর অনলাইনে পোস্ট হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। লোকজন ছোটাছুটি করছে। আহত ব্যক্তিদের সহায়তায় মানুষ এগিয়ে আসছে।

সেভেন সিস্টারস রোডের একটি ফ্ল্যাট বাস করা এক নারীর ভাষ্য, লোকজনকে তিনি চিৎকার ও আর্তনাদ করতে দেখেছেন। একটি ভ্যান লোকজনের ওপর উঠে যাচ্ছে বলে সবাই চিৎকার করে বলছিল। মসজিদের বাইরে একটি সাদা ভ্যান থেমে ছিল। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসা লোকজনকে ভ্যানটি আঘাত করছিল বলে মনে হয়।

হামলাকে ‘গুরুতর ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছে লন্ডন পুলিশ। তারা বলছে, রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের খবর দেওয়া হয়। জানানো হয়, একটি ভ্যান মুসল্লিদের ওপর দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মুসল্লিরা নামাজ শেষ মসজিদ থেকে বেরিয়েছিলেন।