• সোমবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

‘মুসলিম বান্ধব পর্যটনে বাংলাদেশ অনন্য’


প্রকাশিত: ৭:০৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর ১৯ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৩০ বার

 

স্টাফ রিপোর্টার : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বাংলাদেশ হতে পারে মুসলিম বান্ধব পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। মুসলিম বান্ধব পর্যটনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদানই বাংলাদেশে বিদ্যমান রয়েছে। আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন’র অঙ্গ সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজ কর্তৃক মুসলিম বান্ধব পর্যটনের উপর আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময়ই মুসলিম কমিউনিটির মধ্যে যোগাযোগ এবং চমৎকার সম্পর্ক বিদ্যমান রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। জাতির পিতার উদ্যোগেই বাংলাদেশ অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন’র সদস্যপদ লাভ করে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন করেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।

মাহবুব আলী বলেন, বর্তমান বিশ্বে মুসলিম বান্ধব পর্যটন অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল একটি পর্যটন পণ্য। শুধু মুসলিম দেশেই নয় অস্ট্রেলিয়া,তাইওয়ান, কোরিয়া, জাপান এবং নিউজিল্যান্ড এর মত নন-মুসলিম দেশগুলোও এই পর্যটনের গুরুত্ব অনুধাবন করে মুসলিম বান্ধব পর্যটন পণ্য এবং সেবার উপর গুরুত্বারোপ করেছে। সারা বিশ্বের মুসলিম পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য মুসলিম বান্ধব পর্যটনের বিকাশে তারা কাজ করছে। তিনি বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মুসলিম বান্ধব পর্যটন বিকাশে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আমাদের সারাদেশে নান্দনিক স্থাপত্যের মসজিদ, ইসলামিক প্রত্নতত্ত্ব স্থান, মাজার এবং বিভিন্ন ইসলামিক স্মারক ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। আমাদের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি। তার সবই মুসলিম বান্ধব পর্যটন বিকাশে অনুকূল ভূমিকা রাখবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করব আমাদের বেসরকারি উদ্যোক্তাগণ পর্যটনের এই নতুন ধারণা বিকাশে কাজ করবেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, পর্যটন শুধু একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই নিশ্চিত করে না তা একই সাথে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন তৈরি করে। একটি দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি-কে জানার সুযোগ করে দেয়। আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আমরা সকল পর্যটককে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছি।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ওআইসির অঙ্গসংস্থা স্ট্যাটিস্টিকাল, ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ ট্রেনিং সেন্টার ফর ইসলামিক কান্ট্রিজ-এর মহাপরিচালক নেবিল দাবুর ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস।

ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড পেল দেশের তিন প্রতিষ্ঠান : পর্যটন বিকাশে অবদান রাখায় ইসলামিক অর্গানাইজেশন অব কো-অপারেশনের অঙ্গ সংস্থা সেসরিক ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশের তিনটি ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ট্যুরিজম উইন্ডো, অ্যানেক্স ট্রাভেল অ্যান্ড কনসাল্টিং গ্রুপ ও জার্নি প্লাস। পুরস্কার হিসেবে নগদ অর্থ ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।