• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মিশেলকে শেখ হাসিনার নালিশ-পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর মানবাধিকার ছিল না-


প্রকাশিত: ৮:৫২ পিএম, ১৭ আগস্ট ২২ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৫ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সামরিক শাসনামলে দেশে কোনো মানবাধিকার ছিল না। এর চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। বুধবার (১৭ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাচেলেট সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিচার চাইতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তিনি এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা ১৯৭৫ সালের হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন কারণ তারা তখন বিদেশে ছিলেন। ওই হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। জাতিসংঘ হাইকমিশনারকে মানবাধিকার নিয়ে অপপ্রচার সম্পর্কে অবহিত করেছেন বিশিষ্টজনেরা জাতিসংঘ হাইকমিশনারকে মানবাধিকার নিয়ে অপপ্রচার সম্পর্কে অবহিত করেছেন বিশিষ্টজনেরা
জোরপূর্বক নির্বাসন থেকে দেশে ফেরার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই অধ্যাদেশের কারণে তাদের বিচার চাইতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তৎকালীন সামরিক সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছিল।

দু’বার চিলির প্রেসিডেন্ট থাকা মিশেল বাচেলেট বলেন, তার পরিবারকেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মতো অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। যখন তার দেশে একটি অত্যাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল। জাতিসংঘের হাইকমিশনার বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে গভীরভাবে আলোড়িত হয়েছেন, যেখানে জাতির পিতাকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস উপস্থিত ছিলেন। ব্যাচেলেট চারদিনের সফরে গত রবিবার সকালে বাংলাদেশে এসেছেন।