• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিএনপি-প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের ভারসাম্য আনবে-খালেদা


প্রকাশিত: ১:০৪ এএম, ১১ মে ১৭ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

khalada-www.jatirkhantha.com.bd

বিশেষ প্রতিনিধি  :  প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতার একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের ভারসাম্য আনবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আওয়ামী লীগ দেশে ‘একনায়কতান্ত্রিক’ শাসনের জন্ম দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন আরো বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংবিধান সংশোধন করে ক্ষমতায় ভারসাম্য আনবে।
বুধবার বিকেলে বিএনপির ‘ভিশন ২০৩০’ নামের রূপকল্প ঘোষণাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

‘রূপকল্প-২০৩০’ উপস্থাপনকালে খালেদা জিয়া বলেন, জনগণই হবে সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। ক্ষমতায় গেলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিএনপি বাংলাদেশকে কীভাবে গড়ে তুলবে সেই রূপরেখাই রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত  সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার অর্থাৎ একটি যথার্থ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের ভিশন-২০৩০ বাস্তবায়ন করা হবে।

রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের হাতে নেই— এমন মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘তাই জনগণের হাতে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চায় বিএনপি। বিএনপি বিশ্বাস করে জনগণই হবে সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশকে সুখী সমৃদ্ধ আধুনিক দেশ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ভিশন-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোয় নির্বাহী ক্ষমতা এককভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর ন্যস্ত। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের জন্ম দিয়েছে। এক্ষেত্রে ভারসাম্য আনতে উদ্যোগ নেবে বিএনপি।

এছাড়া সংবিধান সংশোধন করে চালু করা ‘অগণতান্ত্রিক বিধানসমূহ’ পর্যালোচনা করে প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও উল্লেখ করেন খালেদা জিয়া।

তিনি বলেন, বিএনপি এমন এক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের কথা চিন্তা করে যেখানে মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। জাতীয় স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে বিরোধীদল সমূহের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

রূপরেখা উপস্থাপনকালে খালেদা জিয়া আরও বলেন, বিএনপি দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস করবে না। সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে পড়া দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়া দেশে ‘বিচারহীনতার’ যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা দূর করতে বিচার নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে মামলাজট নিরসন করা হবে।

এসব ছাড়াও দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, খুন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মতো ঘটনার অবসান ঘটানো হবে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।