• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ-সুইডেন অঙ্গীকারাবদ্ধ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে


প্রকাশিত: ৩:০২ এএম, ১৬ জুন ১৭ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২ বার

 

suiden-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিনিধি  : বাংলাদেশ এবং সুইডেন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই এবং সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র হিসেবে জ্বালানি hasina-www.jatirkhantrha.com.bd.,,,,,,নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসা এবং নগর উন্নয়নে একযোগে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে এই মতৈক্য হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তিনদিনের দ্বিপক্ষীয় সফরে সুইডেনে অবস্থান করছেন। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেনের কার্যালয়ে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার এবং প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই দ্বিপাক্ষিক সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।

তিনি সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্বৃত করে বলেন, সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের দুুয়ারও উন্মোচিত হয়েছে।’ পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন, দুই নেতা বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলাপ-অলোচনা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ব্যবসা এবং নগর উন্নয়ন খাতকে চিহ্নিত করেন।

এই প্রসঙ্গে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন লোফভেন শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন কীভাবে এই স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সহযোগিতা করতে পারে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এক্ষেত্রে তাদের বেসরকারি খাতের ভূমিকাও তিনি তুলে ধরেন।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে দু’টি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকটাই বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে।

লোফভেন বলেন, সুইডেন বর্তমানে অনেক উন্নয়নশীল দেশেই স্মার্ট সিটি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সহযোগিতা করছে। বাংলাদেশে কিভাবে ‘স্মার্ট সিটি’ প্রতিষ্ঠায় সুইডেন সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়েও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেন।