• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বরগুনায় সমন্বয়কদের সভা পন্ড-দলাদলি ধস্তাধস্তি-সংঘর্ষ


প্রকাশিত: ৮:৪৯ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৬ বার

 

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভা দুই দফা বাকবিতণ্ডা, ধস্তাধস্তি ও সংঘর্ষে পণ্ড হয়েছে সভা। এসময় দেশীয় অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে নৌ বাহিনী। পরে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।শনিবার বেলা ১১টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের সভা শুরু হয়ে ভেস্তে যায়। পরে বিকেলে তিনটার দিকে আবারও শুরু হলে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে তা পণ্ড হয়।কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, সকালে সভা শুরুর কিছু সময় পরে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে মীর নিলয়, রেজাউল করিম রেজা ও মিমির দুই পক্ষ।

তারা জানান, এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হলে নৌ বাহিনী রেজা ও মিমির পক্ষের শিক্ষার্থীদের শিল্পকলার বাহিরে বের করে দেয়। এসময় শিক্ষার্থীরা মীর নিলয়কে ছাত্রলীগের দালাল বলে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। পরে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বিষয়টির সমাধানের কথা বললেও শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়নি। এক পর্যায়ে সভাটি পণ্ড হয়ে যায়।

এরপর উপজেলা প্রশাসন ও নৌ বাহিনীর সহায়তায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুনরায় সভাটি শুরু হলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে নৌ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় দেশীয় অস্ত্রসহ একজনকে আটক করা হয়। শিক্ষার্থী সুজন বলেন, মীর নিলয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী। সরকার পতনের আন্দোলনে তার কোনো অবদান ছিল না। অথচ কেন্দ্রীয় সমন্বয়করা তাকে নিয়েই সভা করছেন। অথচ যারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তারা এখন কোণঠাসা।

সাকিব নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মীর নিলয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অপকর্ম করে আসছে। এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মীর নিলয় সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রদলের নেতা কর্মীদের ইন্ধনে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ করছেন। বরগুনা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম মিঞা বলেন, পরিবেশ শান্ত করতে কাজ করছে প্রশাসন। বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আটক শিক্ষার্থীর বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।