• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

চালচোরের পক্ষ নিলেন এমপি!


প্রকাশিত: ৯:৪৭ পিএম, ১৪ এপ্রিল ২০ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১৯ বার


পাবনা প্রতিনিধি : সরকারি ২২৯ বস্তা ত্রাণের চালসহ পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কোরবান আলী সরদারকে হাতেনাতে আটক ও পরে আমিনপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ ফিরোজ কবীর।চাল চুরির ঘটনায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনায় জেলা আওয়ামী লীগ কোরবান আলী সরদারকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সকল সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করেছে।

তবে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র দাবি করে সাজানো ঘটনায় কোরবান সরদারকে ফাঁসানো হয়েছে বলে সাফাই গেয়েছেন এমপি। মঙ্গলবার কোরবান আলী সরদারের পক্ষে জামিনের জন্য নিজ নেতাকর্মীদের নিয়ে পাবনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসেন তিনি।এ সময় আহমেদ ফিরোজ কবীর এমপি বলেন, ঢালারচর একটি সন্ত্রাস ও চরমপন্থী অধ্যুষিত এলাকা। নিরাপত্তার স্বার্থে চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার চালের বস্তা ইউনিয়ন পরিষদে না রেখে নিজ গুদামে মজুদ করছিলেন। তার আত্মসাতের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কোনো একটি মহল তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

তবে র‌্যাব-১২ পাবনা থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার উদ্ধারকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন বলেই জানানো হয়েছে।র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার আমিনুল কবীর তরফদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার র‌্যাব জানতে পারে বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউপি চেয়ারম্যান কোরবান আলী সরদার ভিজিডি ত্রাণের চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে না রেখে গভীর রাতে রূপপুর ইউনিয়নের বাঁধেরহাট বাজারে নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের গুদাম ঘরে মজুদ করছেন।

সোমবার রাত ১০টার দিকে র‌্যাব হাতেনাতে এই চাল উদ্ধার করে এবং চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করে। রাতে আমিনপুর থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, ত্রাণের চাল কোনোভাবেই ব্যক্তিগত গুদামে রাখার সুযোগ নেই। কোরবান আলী সরদার ইউনিয়নের সীমানার বাইরে বেআইনিভাবে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। সেখানে ত্রাণের চাল মজুদ করার বিষয়েও তিনি প্রশাসনকে অবহিত করেননি।