• বৃহস্পতিবার , ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

খুনির পক্ষ নিয়েছে বিএনপির ফখরুল


প্রকাশিত: ৩:৩৮ এএম, ৬ জুন ২৩ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৩ বার

২ ছাত্রদল নেতা পরিবারের অভিযোগ খোকনের নির্দেশে খুন হয়

নরসিংদী প্রতিনিধি : নরসিংদীতে পদবঞ্চিত জেলা ছাত্রদলের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় গোলাগুলির ঘটনায় নিহত দুই ছাত্রদল নেতার খুনিদের পক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী এক পরিবার। সোমবার (৫ জুন) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমানের পরিবার এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাদেকুর রহমানের বড় ভাই ও হত্যা মামলার বাদী মো. আলতাফ হোসেন বলেন, অস্ত্র ব্যবসায়ী, ছিনতাই ও হত্যা মামলার আসামিদের দিয়ে জেলা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালাচ্ছিল জেলা ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামসহ পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। এরই জেরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের নির্দেশে ছাত্রদল নেতা সিদ্দিকুর রহমান নাহিদসহ অন্যান্যরা গুলি করে ছাত্রদল নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলামকে হত্যা করে বলে দাবি করেন তিনি।

এই ঘটনায় খোকনসহ জড়িতদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিহত ছাত্রদল নেতাদের পক্ষে কোনো প্রকার শোক জানিয়ে বিবৃতি দেননি বলে জানান আলতাফ হোসেন। উল্টো মির্জা ফখরুল মামলার আসামি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনের পক্ষ নিয়েছেন।

আলতাফ হোসেন আরও বলেন, খোকনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছিলেন মির্জা ফখরুল। অথচ হত্যার শিকার ছাত্রদল নেতাদের ঘটনায় চুপ থেকে উল্টো মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন তিনি।

গত ২৫ মে বিকেলে নরসিংদীর চিনিশপুরে খায়রুল কবির খোকনের বাসভবন সংলগ্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাদেকুর রহমান এবং ছাত্রদল নেতা আশরাফ হোসেন। এ ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে।

এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর দুইভাগে বিভক্ত হয় নরসিংদীর ছাত্রদল। গত ২৫ মে খায়রুল কবির খোকনের বাসভবনের সামনে পদবঞ্চিতরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ করার সময় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয় ২ ছাত্রদল নেতা।

নিহতদের পরিবারের দাবি, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এবং তার স্ত্রী বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানার নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। খায়রুল কবির খোকনকে বাঁচাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন বলেও দাবি তাদের।