• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কোস্টগার্ড সোর্সের হরিণ শিকার বাণিজ্য


প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ১৮ মে ১৯ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯৯ বার

 

বরগুনা প্রতিনিধি : পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের কথিত সোর্স আল হানিফ সিকদারের হরিণ শিকারে বন উজাড় হওয়ার জোগাড় হয়েছে। প্রায় প্রকাশ্যই হানিফের সাঙ্গ-পাঙ্গরা ফাঁদ পেতে হরিণ ধরে বিক্রি করছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কোস্টগার্ডের সোর্স পরিচয়ে সে দীর্ঘদিন ধরে হরিণ শিকার করে বিক্রি করে আসছিল। দীর্ঘদিন অভিযোগের পর বন বিভাগ শেষমেষ অভিযান চালায়। পুলিশ ও বন বিভাগের যৌথ অভিযানে হরিণের মাথা ও চামড়াসহ ৫ মণ হরিণের মাংস জব্দ করতে সক্ষম হয় তারা । এসময় একটি ট্রলারসহ দুই বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদও জব্দ করা হয়। তবে এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

সরেজমিনে জানা গেছে, শনিবার ভোররাতে পাথরঘাটার সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার বনফুল গুচ্ছগ্রামের একটি খালের ভেতরে থাকা নামবিহীন একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার থেকে এ মাংস জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে বন বিভাগের পদ্মা এলাকার বিট কর্মকর্তা বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোররাতে পুলিশের সহযোগিতায় বনফুল গুচ্ছগ্রাম এলাকায় অভিযান চালায় বন বিভাগ। এসময় গুচ্ছগ্রামের একটি খালের ভেতরে থাকা নামবিহীন একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে তল্লাশী চালিয়ে দুটি করে হরিণের চামড়া ও মাথা, ৫ মণ হরিণের মাংস, দুই বস্তা হরিণ শিকারের ফাঁদ সহ একটি ট্রলার জব্দ করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘জব্দ করা মাংসগুলো অন্তত ৮টি হরিণের বলে ধারণা করছে বন বিভাগ। এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, মাংসসহ জব্দ হওয়া ট্রলারটির মালিকের নাম আব্দুর রহমান সিকদার। তার ছেলে আল হানিফ সিকদার পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের সোর্স হিসেবে পরিচিত। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আব্দুর রহমান সিকদার ও আল হানিফ সিকদার দীর্ঘদিন ধরে হরিণ শিকার করে মাংস বিক্রি করে আসছিলো তারা। তবে এ বিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে, তাদের পাওয়া যায়নি। আর ফোন রিসিভ করেননি কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশনের কমান্ডার। পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন, জব্দ করা মাংস বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।