• শুক্রবার , ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

কেন কার ইশারায় হারলো সাকিবরা?


প্রকাশিত: ১:৫৮ পিএম, ১৬ জানুয়ারী ১৭ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৪ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার  :  কার ইশারায় জেতা ম্যাচ কেন হেরে গেলো সাকিবরা? আজ নারায়নগঞ্জের ৭ sakib-www.jatirkhantha.com.bdখুনের রায়ের পর সাকিবদের হেরে যাওয়া নিয়ে ছিল সবার আলোচনা। সর্বত্রই একটাই কথা কেন কার ইশারায় হারলো সাকিবরা।

প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ার-সেরা ২১৭ রানের পর বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট। তারপরও কি না ম্যাচ শেষে হারের স্বাদ পেতে হলো তাঁকে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৬০ রানে অলআউট হয় লাল-সবুজের দল। ২১৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কেন উইলিয়ামসনের শতকে ৭ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড।

তবে এই হারে সাকিবের মন খারাপ করার কিছু নেই। ডাবল সেঞ্চুরি করার পরও দল হেরেছে—ক্রিকেটে এমন ঘটনা আছে ১৫টি। ক্রিকেট ইতিহাসে সবার আগে এই তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেন সিড জর্জ। ১৮৯৪ সালের অ্যাশেজে এ ঘটনা ঘটে। পরের দুটি ঘটনার সাক্ষী ১৯১১ সালে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে।

দ্বিতীয় টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার অব্রি ফকনার ২০৪ রান করলেও হেরে যায় তাঁর দল। আর পরের টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টর ট্রাম্পার ক্যারিয়ার-সেরা ২১৪ রান করলেও হেরে যায় তাঁর দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম জয়ের ঘটনা।

১৯৫০ সালে ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২ রান করেন কিংবদন্তি স্যার লেন হাটন, তবুও হেরে যায় তাঁর দল। ১৯৫৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ার-সেরা ২০৫ রান করেও হেরে যায় নেইল হার্ভের অস্ট্রেলিয়া। ১৯৬৭ সালে বৃথা যায় প্রোটিয়া গ্রেট গ্রায়েম পোলকের ডাবল সেঞ্চুরি।

তালিকায় আরো কয়েকজন কিংবদন্তির নাম আছে। ২০০১ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেন ব্রায়ান লারা। তবুও হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচে অবশ্য লঙ্কানদের পক্ষে হাসান তিলকারত্নেও ডাবল সেঞ্চুরি করেন। ২০০৬ সালেও বৃথা যায় লারার ডাবল সেঞ্চুরি।

ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২২৬ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি ক্রিকেটের এই বরপুত্র। এই তালিকায় বীরেন্দ্র শেবাগ ও ম্যাথু হেইডেনের মতো তারকাও আছেন। ২০০১ সালে চেন্নাইতে প্রথম ইনিংসে ২০৩ রান করে হেইডেন।

তবে ‘দ্য টার্বুনেটর’ হরভজন সিংয়ের ১৫ উইকেট আর শচীন-লক্ষ্মণ বীরত্বে ২ উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত। ২০০৫ সালে ভারত-পাকিস্তান সিরিজের তৃতীয় টেস্টে শেবাগের ২০১ রান সত্ত্বেও হারে ভারত। পাকিস্তানের হয়ে ২৬৭ রান করেন ইউনুস খান। ২০০৪ সালে অ্যাডিলেডে ২৪২ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি রিকি পন্টিং।