‘কল মি ডেভ: দ্য আনঅথরাইজড বায়োগ্রাফি’-মৃত শূকুরের সঙ্গে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর যৌনকর্মে তোলপাড়
আন্তজার্তিক ডেস্ক রিপোর্টার : যৌবনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নানা কুকীর্তির চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে নতুন একটি জীবনীমূলক বই বেরিয়েছে। বইটি নিয়ে ব্রিটেনে এখন তোলপাড় চললেও সরকারি কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক নিরব।বইটিতে বলা হয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মৃত শূকরের মুখে গোপনাঙ্গ ঢুকিয়ে যৌনকর্ম করেছিলেন ক্যামেরন। তাছাড়া, তিনি গাঁজা সেবনও করেছেন বলে বইয়ে দাবি করা হয়েছে।
‘কল মি ডেভ: দ্য আনঅথরাইজড বায়োগ্রাফি’ শীর্ষক বইয়ে এ দাবি করা হয়। ডাউনিং স্ট্রিট আপাতত বইয়ের এ দাবির ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’ জানিয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক উপ-প্রধান লর্ড অ্যাশক্রোফ্ট এবং সাংবাদিক ইসাবেল ওয়াকেশট (সানডে টাইমসের সাবেক রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক) বইটি লেখেন।
এতে তারা নাম প্রকাশ না করে অক্সফোর্ডে ক্যামেরনের সময়কার বিশিষ্ট একজনের স্মৃতিচারণ তুলে ধরে ক্যামেরন সম্পর্কে ওইসব দাবি করেন। ওই বিশিষ্ট ব্যক্তি বর্তমানে একজন এমপি।বইতে ওই ব্যক্তির স্মৃতিচারণ তুলে ধরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ডে পড়ার সময় পিয়ারস গাভেস্টন সোসাইটি নামে ভ্রষ্ট তরুণদের একটি দলের সদস্য ছিলেন ক্যামেরন।
বইয়ে দাবি করা হয়, এ পিয়ারস গাভেস্টন সোসাইটিরই একটি অনুষ্ঠানে মৃত শূকরের সঙ্গে ওই অশ্লীল ক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন ক্যামেরন। মৃত পশুর মুখে যৌনাঙ্গ ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন বর্তমান এ প্রধানমন্ত্রী। এ ঘটনার প্রমাণ হিসাবে ছবিও রয়েছে বলে বইতে দাবি করেছেন অ্যাসক্রোফ্ট।বইয়ে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সঙ্গে গাঁজা সেবন করেছেন ক্যামেরন। বন্ধুদের ওই দলকে ‘ফ্লেম ক্লাব’ বলে ডাকা হত।
অ্যাশক্রোফ্ট ও ক্যামেরনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি নতুন করে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর অ্যাশক্রোফ্টকে জোট সরকারের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা না দেয়া হলে তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ পেয়ে যায়।ক্যামেরন লন্ডনে নিজের বাড়িতে কোকেন নিয়ে আসার অনুমতিও দিয়েছিলেন বলে বইয়ে দাবি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর একজন মুখপাত্র দৈনিক ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। এর কোনো কিছু নিয়েই কিছু বলার নেই।”বর্তমান অনেক এমপিই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেছেন।অনেকেই বইয়ের এসব তথ্য থেকে ক্যামেরনকে আক্রমণ করার খোরাক পেয়েছেন। আবার অনেকে মনে করছেন ক্যামেরনের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এসব লিখে চাঞ্চল্য তৈরির চেষ্টা চলছে।
কনজারভেটিভ পার্টির সাবেক এমপি লুইস মেনস্চ জোর দিয়ে বলেছেন, “(ক্যামেরনের বিরুদ্ধে)এসব দাবি এখনো প্রমাণিত নয়। এ গল্প এমনভাবে বলা হয়েছে যেন, ‘আমি কিছু বলছি না, কিন্তু রহস্য মানবের কাছে একটি ছবি আছে’।বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে মাদক সেবন করেছেন কিনা সে বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি ক্যামেরন। শুধু বলেছেন, ২০০১ সালে এমপি হওয়ার পর থেকে তিনি কখনোই কোকেন গ্রহণ করেননি।২০০৫ সালে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর ক্যামেরন বলেছিলেন, “অতীতে যা গোপন ছিল তা গোপন থাকাই উচিত।”